আর্চারের ওপর রেগে আগুন, পারিশ্রমিক দিতে মানা গাভাস্কারের!
লম্বা সময় চোটে ভোগার পর চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে যোগ দেন জোফ্রা আর্চার। প্রথম দিকে কয়েকটা ম্যাচও খেলেন তিনি। তবে পুরনো চোট আবার নতুন করে দেখা দেওয়ায় আইপিএলের মাঝপথেই দেশে ফিরে গেছেন ইংলিশ এই পেসার। আর্চারের এমন কাণ্ডে ক্ষেপেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার।
নিলামে ৮ কোটি টাকা দিয়ে আর্চারকে কিনেছিল মুম্বাই। এত টাকা দিয়ে কেনার পরেও আর্চারকে সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। যসপ্রীত বুমরাহ চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের কাছে আর্চার ছিলেন প্রধান পেস অস্ত্র। কিন্তু ইংলিশ তারকা পেসারকে সেভাবে খেলাতে পারেনি রোহিতরা। সব মিলিয়ে এই বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন দুটি উইকেট। তারপরই এই গতিতারকা আবার পুরনো চোটে ভুগতে থাকেন। জানা গেছে, কনুইয়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে তাকে।
গাভাস্কার বলেন, ‘জোফ্রা আর্চারকে দলে নিয়ে কী লাভ হল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের? গত বছর ওর চোট জেনেও দলে নিল কারণ এই বছর থেকে পাওয়া যাবে। কিন্তু কখনও ১০০ শতাংশ সুস্থ মনে হয়নি আর্চারকে। সেটা বোঝা যায় আর্চার দলে আসার পর। প্রতিযোগিতার মাঝপথে নিজের দেশের বোর্ডের কথা শুনে চিকিৎসা করাতে চলে যায় আর্চার। অর্থাৎ পুরো সুস্থ না হয়েই আইপিএল খেলতে এসেছিল সে। মুম্বাই দলের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলে আর্চার কখনও চলে যেত না। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের থেকেও বেশি টাকা দেয় মুম্বাই। তারপরও দলের প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার আগেই চলে গেল আর্চার।
ঝাই রিচার্ডসন, কাইল জেমিসন, উইল জ্যাকসের মতো ক্রিকেটারের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। গাভাস্কারের মতে, এমন ক্রিকেটারদের এক টাকাও দেওয়া উচিত নয়। যত বড়ই নাম হোক না কেন, সেই ক্রিকেটারের পুরো প্রতিযোগিতা খেলা উচিত। একজন ক্রিকেটারের কাছে সুযোগ রয়েছে দেশ এবং আইপিএলের মধ্যে যে কোনো একটা বেছে নেওয়ার। কেউ দেশকে বেছে নিতেই পারে। কিন্তু যদি আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনো অজুহাত দিয়ে পরে আসা বা আগে চলে যাওয়া উচিত নয়।