হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের
আগের দুই ম্যাচ হেরে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। একই সঙ্গে বাড়তি চাপও ছিল তাদের ওপর। কারণ সিরিজ বাঁচাতে তৃতীয় ওয়ানডেতে জয়ের বিকল্প ছিল না কিউইদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই জয়টা আর পাওয়া হলো না সফরকারীদের। টানা তিন জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো পাকিস্তান।
করাচিতে বুধবার ২৬ রানে জিতেছে বাবরের দল। বাঁচা-মরার ম্যাচে ২৮৭ রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ২৬১ রানে। টানা তিন জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-০তে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।
লাথাম ৪৫ করে আউট হওয়ার পর ৫২ বলে ৯২ রানের দূরত্বে ছিল নিউজিল্যান্ড। হাতে ৪ উইকেট থাকলেও এক প্রান্তে লড়াই করে গেছেন ম্যাকোকি। অ্যাডাম মিলনের সঙ্গে ২১ বলে ৩১ রানের জুটির পর শিপলি ও সোধিকে নিয়েও লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। অভিষেকেই ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটটা তাঁর বৃথাই গেছে। পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট এনে দেওয়ার পর ধীরে ধীরে রাশটা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন মার্ক চাপম্যান ও লাথাম। জুটিটি ভাঙতে নাসিমকে বোলিংয়ে ফেরান বাবর। ৩৫তম ওভারের প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে চাপম্যানকে বোল্ড করেন নাসিম। নিউজিল্যান্ড তখন হাতে ৬ উইকেট রেখে ৯৫ বলে ১২০ রানের দূরত্বে। পরের ওভারে স্পিনার আঘা সালমানকে হেনরি নিকোলস বাজে শটে উইকেট দেওয়ার পর বিপদে’ পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১ রান করা নিকোলসের ধৈর্যচ্যুতি না ঘটলে রান তাড়াটা জমজমাট হতে পারত।
এর আগে ওপেনার টম ব্লান্ডলের ৬৫ ও উইল ইয়াংয়ের ৩৩ রানে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পাকিস্তানের তিন পেসার শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি করে উইকেট নিয়ে কিউইদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে শুরুতে ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি ওপেনিং জুটি। ১৯ রান করে আউট হন আগের ম্যাচে ১৮০ রানের ইনিংস খেলা ফখর জামান। পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ৮.২ ওভারে ১ উইকেটে ৩৭।
বাবর ও ইমাম-উল-হকের ১০৮ রানের জুটিতে ভিত গড়ে পাকিস্তান। ৫৪ রানে আউট হওয়া বাবরের পর হাল ধরেন ইমাম। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ৯০ রানে বোল্ড হন মিলনের বলে। শেষ দিকে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৩২, আগা সালমানের ৩১ রানে লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় পাকিস্তান।
এইচজেএস