দুই আফগানের ঘূর্ণিতে জিতল গুজরাট
আইপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের প্রথম ইনিংস যদি হয় ব্যাটারদের, পরের ইনিংস দুই আফগান বোলারের। তাদের ঘূর্ণিতেই আসরের পঞ্চম জয় পেল গুজরাট। এ নিয়ে তারা শীর্ষে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে পয়েন্টে সমতা এনেছে। গুজরাটের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের যে ব্যাটারই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাকেই ফিরিয়েছেন নুর আহমেদ ও রশিদ খান। ফলে রোহিত শর্মার দল ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে।
গুজরাটের হয়েই এবার আইপিএল অভিষেক হয় নুর আহমেদের। ম্যাচের সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখেই উইকেট পাচ্ছেন এই আফগান স্পিনার। বাঁ-হাতি এই রিস্ট স্পিনার তিন ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন যথাক্রমে ১, ২ ও ৩টি। তার স্বদেশি লেগ-স্পিনার রশিদও এই ম্যাচে দুই উইকেট নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আহমেদাবাদে নিজেদের মাঠে মুম্বাইকে আতিথ্য দেয় হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ চাপেই ছিল স্বাগতিকরা। তবে ঘুরে দাঁড়াতে তারা মোটেও সময় নেয়নি। শেষ পাঁচ ওভারে বোলারদের তুলোধুনো করে গুজরাট তোলে ৭৭ রান। শুভমান গিলের অর্ধশতকের পর টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন প্রোটিয়া ডেভিড মিলার ও স্থানীয় ব্যাটার অভিনব মনোহর।
গিলের ৩৪ বলে ৫৬, মনোহরের ২১ বলে ৪২, মিলারের ২২ বলে ৪৬ রানের পর তেওয়াতিয়ার ৫ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৭ রান তুলেছে গুজরাট। যদিও তাদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। এদিন প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন শচীন টেন্ডুলকারপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসেই তিনি তুলে নেন ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট। সেখান থেকে চাপ সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় গুজরাট।
রান তাড়ায় ব্যাট করতে নামা মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাকে ফিরিয়েছেন গুজরাটেরই অধিনায়ক পান্ডিয়া। ৮ বলে রোহিত করেন মাত্র ২ রান। এরপর ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে ঈশান কিষান ৩৯ রানের জুটি গড়েন। অষ্টম ওভারে রশিদের বলে আকাশে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন রান করতে হিমশিম খাওয়া কিষান (২১ বলে ১৩)। ওই ওভারের শেষ বলেই তিলক বর্মাকে এলবিডব্লিউ করে মুম্বাইকে আরেকটি ধাক্কা দেন এই আফগান স্পিনার।
এরপর দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন নুর। ১১তম ওভারে তিন বলের মধ্যে ক্যামেরন গ্রিন ও টিম ডেভিড ফেরানো নুর পরের ওভারে ফিরতি ক্যাচ নেন সূর্যকুমার যাদবের। আগের ম্যাচ দিয়ে রানে ফেরা সূর্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ১২ বলে ২৩ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করা গ্রিন মারতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন।
১১তম ওভারে নুরের জোড়া আঘাতের পর অবশ্য পাল্টা আক্রমণে ১১ বলে ৩১ রান তুলে ফেলেছিলেন সূর্যকুমার ও নেহাল ওয়াধেরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৫৯ রানে ৫ ও ৯০ রানে ৬ উইকেট হারানো মুম্বাই পুরো ২০ ওভার খেলে তুলতে পারে ৯ উইকেটে ১৫২ রান। মুম্বাইয়ের হয়ে ২১ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করা ওয়াধেরা মেরেছেন ৩টি করে চার-ছক্কা।
গুজরাটের হয়ে নুরের তিনটি এবং রশিদ ও মোহিত শর্মা দুটি করে উইকেট নেন। সাত ম্যাচে এখন পর্যন্ত তাদের জয় পাঁচটিতে। অন্যদিকে, সমান ম্যাচ খেলে মুম্বাই মাত্র তিনটিতে জিতেছে। ফলে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান সাত নম্বরে।
এএইচএস