চ্যাপম্যানের খুনে সেঞ্চুরিতে আশাভঙ্গ পাকিস্তানের
চাপের মুখে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের খুনে ইনিংস খেললেন মার্ক চ্যাপম্যান। কিউই এই ব্যাটারের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দিনে জেমস নিশামের সঙ্গে বিধ্বংসী জুটিতে ভর করে ৪ বল হাতে রেখেই পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সমতা ফেরাল কিউইরা।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডিতে আগে ব্যাট করতে নেমে উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে (৯৮) ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান তুলেছিল পাকিস্তান। বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারে ফিরিয়ে দেন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংকে।
মাত্র ২৬ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। ১০ ওভারে রান ৪ উইকেটে ৭৩। মূলত চিত্র পাল্টে যাওয়ার শুরু এরপর থেকেই। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন চ্যাপম্যান। ৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জিমি নিশাম।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ২৮ রান। ১৮তম ওভারে পাক পেসার আফ্রিদিকেই টার্গেট বানান চ্যাপম্যান। প্রথম চার বলে তিনটি চারের মারে দলের জয় ও ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান এই ব্যাটার। শেষ দুই বলে দুটি ডাবল নিয়ে কাঙ্ক্ষিত ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান। শতক হাঁকাতে মাত্র ৫৪ বল খরচ করেছেন চ্যাপম্যান।
শেষ ওভারে ৩ রানের সমীকরণ মেলাতে কোনো সমস্যাই হয়নি সফরকারীদের। খুনে সেঞ্চুরি আর বিধ্বংসী এক জুটিতে ১০ ওভারে ১২১ রানের কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দিলেন চ্যাপম্যান-নিশাম জুটি। ২৫ বলে ৪৫ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেছেন নিশাম।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রিজওয়ান ও বাবর আজমের ব্যাটে শুরুটা খারাপ হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় পঞ্চাশের পর খেই হারিয়ে ফেলে বাবররা। ৫ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট পতনে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার আভাসই মিলছিল যেন। অধিনায়ক বাবরের ১৮ বলে ১৯ রানের পর গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস ও সাইম আইয়ুব।
পরপর তিন উইকেট হারিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইফতিখারকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন এক প্রান্ত আগলে রাখা রিজওয়ান। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৬ বলে ৭১ রান। ২২ বলে ৩৬ রান করা ইফতিখারকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে বিদায় করেন ব্লেয়ার টিকনার।
ইফতিখারের পর ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন রিজওয়ান। ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন মাত্র ৩৩ বলে। কিন্তু দ্বারপ্রান্তে গিয়েও তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার। ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। তবে তার এমন ইনিংস শেষ পর্যন্ত ঢাকা পড়ে গেছে চ্যাপম্যান ঝড়ে।
এফআই