১ ওভারে ৩১ রান, লজ্জার রেকর্ড শচীনপুত্রের
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অভিষেকেই আলোচনায় ছিলেন অর্জুন টেন্ডুলকার। তবে সেটা পারফরম্যান্সের জন্য নয়, মূলত শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে বলেই হয়তো তার ওপর বাড়তি আকর্ষণ ছিল। তবে ধীরে ধীরে সেই আকর্ষণ উবে যাচ্ছে না কি না এমন প্রশ্ন হতেই পারে।
অভিষেক ম্যাচে ২ ওভারে ১৭ রান খরচ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮ রান দিয়ে অর্জুন নেন এক উইকেট। তবে এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ রান। সেই সঙ্গে এক উইকেট। সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের অনেকেই শচীনপুত্রের প্রশংসায় মেতে ওঠেন। তবে বাস্তবতা বুঝতে খুব একটা সময় লাগল না তরুণ এই পেসারের। গতকাল (শনিবার) পাঞ্জাবের বিপক্ষে এক ওভারেই ৩১ রান দিয়েছেন অর্জুন। সেই সঙ্গে গড়লেন একাধিক লজ্জার নজিরও!
ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের জন্মদিন উৎসবে সেজেছিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। যদিও এদিন দলের মেন্টরকে জয় উপহার দিতে পারেননি রোহিত শর্মারা। অন্যদিকে, বল হাতে বাজে দিন কাটালেন অর্জুনও। নিজের স্পেলে তিন ওভার বল করে একটি উইকেট দখলে নিলেও খরচ করেছেন ৪৮ রান। নিজের তৃতীয় ওভারে ৩১ রান দিয়ে বসেন অর্জুন টেন্ডুলকার। ফলে মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি দ্বিতীয় বোলার যিনি এক ওভারে এত বেশি রান দিলেন। বলা যায় আইপিএলের ইতিহাসে এক ওভারে সর্বাধিক রান দেওয়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বোলারদের তালিকায় দুই নম্বরে ওঠে এলেন অর্জুন। এর আগে মুম্বাইয়ের হয়ে এক ওভারে সর্বোচ্চ ৩৫ রান দিয়েছিলেন ড্যানিয়েল সামস।
এছাড়া আইপিএলে এক ওভারে এর চেয়ে বেশি রান খরচ করার রেকর্ড আছে আর পাঁচটি। আইপিএলে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করার রেকর্ডটি যৌথভাবে প্রশান্ত পরমেশ্বরন ও হার্শাল প্যাটেলের। ২০১১ সালে কোচি টাস্কার্স কেরালার বাঁহাতি পেসার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১ ওভারেই দিয়েছিলেন ৩৭ রান। ৩৭ রানের মধ্যে ৩৬ রানই নিয়েছিলেন ক্রিস গেইল, ওভারের দ্বিতীয় বলটি নো করেছিলেন পরমেশ্বরন।
যদিও অর্জুন নিজের প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন মোটে পাঁচ রান। পাওয়ারপ্লের পরে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দেন ১২ রান। এরপর ১৬ তম ওভার বল করতে এসেই বেদম মার। স্যাম কারেনকে করা প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেন তিনি। পরের বলটি ওয়াইড হয়। তৃতীয় বলে চার মেরে পরের বলে এক রান নেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। ফলে স্ট্রাইক পান হারপ্রিত সিং।
সিং প্রথম দুই বলে চার-ছক্কায় তোলেন ১০ রান। শেষ বল করতে গিয়ে নো দেন অর্জুন, সেটি আবার চারও হয়, ওভার পূর্ণ করতে গিয়ে আবার চার হজম করেন শচীনের ছেলে। ৩ ওভারে ৪৮ রান খরচ করে ফেলা অর্জুনকে বল করার জন্য আর ডাকেননি মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তবে এ দিন অর্জুন একা নন। জোফ্রা আর্চারের মতো বিশ্বসেরা বোলারও এদিন ছিলেন বেশ খরুচে।
এফআই