আইপিএলে ফিরে এসেছে ফিক্সিং, ক্রিকেটারকে প্রস্তাব
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের যেমন আগ্রহ থাকে টুর্নামেন্টটিতে, তেমনি আইপিএল ঘিরে ফিক্সাররাও (জুয়াড়ি) থাকে সক্রিয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার আইপিএলে ফিক্সিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। চলতি আইপিএলেও আবারো ফিরে এসেছে ফিক্সিং! তবে এবার কোনো পেশাদার জুয়াড়ি নন, আইপিএলে জুয়া খেলে টাকা খোয়ানো এক ড্রাইভারের কাছ থেকে গড়াপেটার প্রস্তাব এসেছে। এমনই খবর জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার মোহাম্মদ সিরাজকে ফোন দিয়ে দলের হাড়ির খবর জানতে চেয়েছেন ওই জুয়াড়ি। অবশ্য দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে বিষয়টি জানিয়েছেন আরসিবির এই পেসার। ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনো বোর্ডের তরফে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
খবর অনুযায়ী, গত মার্চে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালেই এমন প্রস্তাব পান সিরাজ। এক অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন পান। সেই ব্যক্তি নিজেকে বাসচালক বলে পরিচয় দেন। পেশাদার কোনো জুয়াড়ি নন। হায়দরাবাদের ওই চালক আইপিএলের ম্যাচগুলোতে নিয়মিত জুয়া খেলেন। সম্প্রতি জুয়া খেলতে গিয়ে বহু টাকা ক্ষতি হয়েছে তার। এরপরই আসন্ন আইপিএল ঘিরে বেঙ্গালুরু দলের অন্দরের খবর জানতে চেয়ে সিরাজকে ফোন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাল্টে গেল আইপিএল ম্যাচের সূচি
বোর্ডের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সিরাজ সঙ্গে সঙ্গেই বোর্ডকে খবরটি জানায়। বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (এসিইউ) ইতোমধ্যে কাজে নেমে পড়েছে। সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু এখনই বলা সম্ভব নয়।
গত মার্চে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালেই এমন প্রস্তাব পান সিরাজ। এক অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন পান। সেই ব্যক্তি নিজেকে বাসচালক বলে পরিচয় দেন। পেশাদার কোনো জুয়াড়ি নন। হায়দরাবাদের ওই বাসচালক আইপিএলের ম্যাচগুলোতে নিয়মিত জুয়া খেলেন। সম্প্রতি জুয়া খেলতে গিয়ে বহু টাকা ক্ষতি হয়েছে তার। এরপরই আসন্ন আইপিএল ঘিরে বেঙ্গালুরু দলের অন্দরের খবর জানতে চেয়ে সিরাজকে ফোন করেন তিনি।
অতীতে ফিক্সিংয়ের কারণে কলঙ্কিত হয়েছে আইপিএল। চেন্নাই এবং রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকার অপরাধে দু’বছর করে নির্বাসিত করা হয়। অবশ্য আইপিএলে দুর্নীতি প্রতিরোধে এখন বেশ সক্রিয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি দলে একজন করে দুর্নীতিবিরোধী সদস্য রয়েছেন। তারা ক্রিকেটারদের সঙ্গে একই হোটেলে থাকেন এবং সর্বক্ষণ তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন।
এফআই