আলভেজ বলছেন দুজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক
ক্যারিয়ারটা দারুণভাবেই শেষ হতে পারত ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজের। ফুটবলাঙ্গনে শেষ মুহূর্তের সময়ে তাকে সম্মান দেখিয়ে সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের দলে রেখেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বড় বড় ক্লাবের হয়ে খেলায় জিতেছেন অসংখ্য মেজর ট্রফি। তবে মাঠকে বিদায় বলার আগেই তার গায়ে লেগেছে কলঙ্কের দাগ। বর্তমানে কারগারে থাকা আলভেজের সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদও হয়েছে। এরপরই তিনি দাবি করেছেন অভিযুক্তের সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক গড়েছিলেন তারা!
এর আগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে এক নারী বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। পরবর্তীতে ২০ জানুয়ারি থেকে তিনি ওই মামলায় কারাগারে রয়েছেন। ওই নারীর অভিযোগ, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এক পার্টিতে আলভেজ অনুমতি ছাড়াই তার শরীর স্পর্শ করেন। এর পরই গুঞ্জন ওঠে, আলভেজের স্ত্রী হোয়ানা নাকি দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানতে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত এই গুঞ্জনই সত্যি হলো। ২৯ বছর বয়সী হোয়ানা ইনস্টাগ্রামে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে আলভেজের আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আগে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন আলভেজ।
আরও পড়ুন >> স্ত্রীর বিচ্ছেদের ঘোষণায় স্নায়ুচাপে ভুগছেন আলভেজ
তাদের দাবি, ‘তিনি (আলভেজ) পরিষ্কার করেছেন যে, কী ঘটেছিল তা প্রাথমিকভাবে বলেননি এবং যৌন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন। কারণ তার একমাত্র অগ্রাধিকার ছিল বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা করা। তিনি বলেছেন যে, বিশ্রামাগারের ভেতরে যা কিছু ঘটেছিল তা ছিল বিনামূল্যে এবং স্বেচ্ছায়। তারা প্রেম করেছিলেন এবং (অভিযোগকারী) কোনো সময় থামতে বলেননি।
৩৯ বছর বয়সী আলভেজের অনুরোধে গতকাল (১৭ এপ্রিল) বার্সেলোনায় তদন্ত পরিচালনাকারী বিচারকের সামনে তাকে হাজির করা হয়। সেখানে ব্রাজিল ফরোয়ার্ড জানান যে, তার এবং অভিযোগকারীর মধ্যে তাৎক্ষণিক আগ্রহে ওই ঘটনা ঘটেছিল।
গ্রেফতার হওয়ার পর আলভেজের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তার তৎকালীন ক্লাব পুমাস। বার্সেলোনা, জুভোন্তাস ও পিএসজির মতো ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে পরে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার স্ত্রী হোয়ানা সানস। স্পেনের আইন অনুযায়ী ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে আলভেজের চার থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।
এএইচএস