বাফুফে-ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ‘দূরত্ব নেই, ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে’
সাবিনাদের মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে তোলপাড়। বাফুফে আর্থিক সংকটের কারণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠিতে উল্লেখিত ডেডলাইনের আগেই বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ সফর বাতিলের ঘোষণা দেওয়ায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
আজ (বুধবার) বাফুফের জরুরি নির্বাহী কমিটির সভা শেষে ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় বাফুফে-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দূরত্ব নিয়ে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। বিভাজনের কিছুই নেই। আমরা মনে করি ভুল বোঝাবাঝি হচ্ছে। কোনো দূরত্ব নেই।’
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক সংস্থা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাফুফের সহ-সভাপতি অভিভাবক সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধাপোষণ করেই বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ক্রীড়ার ওপরই আছে। কেউ ভুল করলে তারা সংশোধন করে নেবে। তারা তো শীর্ষে আছে। তারা তো ফেলে দেবে না। বাপ-ছেলের মধ্যে দূরত্ব হয় এরপর কাছেও চলে আসে।’
আরও পড়ুন: আবার সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে বাফুফে
সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য নিয়েই মূলত ঘটনার সূত্রপাত। সেই সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আজ বলেছেন, ‘সরকার তো গার্ডিয়ান। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তো আমাদের গার্ডিয়ান। সরকারের সব সহযোগিতা নিয়ে কাজ করি আমরা। টাকার সীমাবদ্ধতা তাদের জানাবো। হয়তো ভুল বোঝাবোঝির মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও আমার মনে হয় এটা ঠিক হয়ে যাবে। দিনশেষে আমরা স্পোর্টস ফ্যামিলি।’
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দল যায়নি এ নিয়ে নির্বাহী সভা তো দূরের কথা, নারী উইংয়ের সভাও হয়নি। নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা এ নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সভায় তারা নিশ্চুপই থাকেন। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তার সহকর্মীদের বোর্ডে কথা বলার অনুরোধ জানান,‘আমি যদি এখানে কথা বলতে না পারি তাহলে বাইরে গেলে দুইটা তিনটা ক্যামেরা সবসময় থাকে। বোর্ডে বলা উচিত।’
এজেড/এফআই