শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় কলকাতার নায়ক রিংকু
শেষ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। ইয়াশ দয়ালের প্রথম বলে উমেশ যাদব এক রান নিলে ৫ বলে প্রয়োজন হয় ২৮ রানের। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে টানা পাঁচ বলে ৫টি ছক্কা হাঁকান রিংকু সিং। তাতে ৩ উইকেটের জয় পায় কলকাতা।
রোববার (৯ এপ্রিল) আহমেদাবাদে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৪ রানের বড় পুঁজি পায় আসরের শিরোপাধারী গুজরাট। জবাবে রিংকুর বিস্ফোরক ইনিংসে ৭ উইকেটে ২০৭ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে কলকাতা।
রশিদ খানের হ্যাটট্রিকে ১৭তম ওভারে ১৫৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা কলকাতার শেষ ৮ বলে চাহিদা ছিল ৩৯ রানের। কোনো ব্যাটারের পক্ষে এমন সমীকরণ মেলানো অসম্ভবের পর্যায়েই পড়ে। তবে রিংকু সেটাকে সম্ভব করে ছাড়লেন। গুজরাটের আইরিশ পেসার জশ লিটলের করা ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে তিনি মারেন যথাক্রমে ছক্কা ও চার। এরপর দয়ালকে কচুকাটা করে ইতি টানেন উত্তেজনায় ভরপুর এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের।
২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ছিল ফুল টস। লং অফ দিয়ে তা সীমানার বাইরে পাঠান রিংকু। পরের দুটি বলও ফুল টস দেন বাঁহাতি বোলার দয়াল। যথাক্রমে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ও লং অফ দিয়ে হয় ছক্কা। অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা পঞ্চম বলটিতেও আসে একই ফল। এবারে লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে পড়ে বল।
রিংকুর তাণ্ডবে শেষ বলে ৪ রান দরকার হয় কলকাতার। এলোমেলো হয়ে পড়া দয়াল অফ স্টাম্পের বাইরে করেন শর্ট ডেলিভারি। রিংকু তীরে পৌঁছে তরী ডোবাতে দেননি। লং অন দিয়ে হাঁকান জয়সূচক ছক্কা। গুজরাটের খেলোয়াড়রা যখন হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলেন, তখন দৌড়ে মাঠের ভেতরে ঢুকে রিংকুকে নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন কলকাতার খেলোয়াড়রা।
অবধারিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন রিংকু। পাঁচে নেমে ২১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। যার ওপর দিয়ে ঝড়টা যায়, সেই দয়াল ৪ ওভারে বিনা উইকেটে খরচ করেন ৬৯ রান। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় তার অবস্থান দুইয়ে।
এর আগে ২০১৮ সালে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৭০ রান দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বাসিল থাম্পি। প্রতিপক্ষ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
এইচজেএস