কোহলিদের হারিয়ে লিটনদের প্রথম জয়
লক্ষ্য ২০৫ রান, উমেশ যাদবের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করে চার মেরে শুরু করলেন বিরাট কোহলি। সেই ওভারের শেষ বলে মেরেছেন আরও এক চার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে টিম সাউদিকে ফাফ ডু প্লেসি ও কোহলি মিলে মেরেছেন দুই ছক্কা আর দুই চার। ৪ ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু রান বিনা উইকেটে ৪২। লক্ষ্য থেকে অনেকটা দূরে হলেও এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে ইডেন গার্ডেন্সে কেবল জয়ের স্বপ্নই দেখছিল সফরকারীরা। তবে সেসব যেন হঠাৎই নসাৎ হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিন আক্রমণে।
কোহলিকে ফিরিয়ে সুনীল নারিনের শুরু। এর পরের গল্পটা লিখেছেন বরুণ চক্রবর্তী-সুহাশ শর্মারা। ইডেনে কলকাতার স্পিন জালে ফেঁসে ৮৯ রানে ১০ উইকেট হারাল বেঙ্গালুরু। বরুণ ১৫ রানে চারটি আর সুহাশ ৩০ রান দিয়ে নিলেন তিন উইকেট। নারিন-বরুণ আর সুহাশ মিলে ফেরালেন সফরকারী ৯ ব্যাটারকে। স্পিন ত্রয়ীতে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুকে ৮১ রানে হারিয়ে আইপিএলের এবারে প্রথম জয় পেল কলকাতা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে জয়ের জন্য ২০৫ রান তাড়ায় বেঙ্গালুরুকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার কোহলি ও ডু প্লেসি। প্রথম চার ওভারে ৪২ রান তোলেন তারা দুজন। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে অ্যাক্রোস দ্য লাইন খেলতে চেয়েছিলেন কোহলি।
ইনসাইড এজ হওয়ায় বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় ২১ রান করা এই ওপেনারকে। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে ডু প্লেসিকে ফেরান বরুণ। ডানহাতি এই রহস্যময় স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন তিনি। বেঙ্গালুরুর অধিনায়কের ব্যাট থেকে এদিন ১২ বলে ২৩ রান এসেছে। একই ডেলিভারিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও বিদায় করেছেন বরুণ।
দুই বলের ব্যবধানে হার্শাল প্যাটেলকেও সাজঘরে পাঠান কলকাতার এই স্পিনার। এরপর শাহবাজ আহমেদ-মাইকেল ব্রেসওয়েলরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে। নারিন-বরুণদের সঙ্গে উইকেট নেয়ার মিছিলে যোগ দেন সুহাশ। তরুণ এই স্পিনার নিজের অভিষেক ম্যাচে আউট করেছেন দীনেশ কার্তিক, অনুজ রাওয়াত এবং কার্ন শর্মাকে। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু অল আউট হয় ১২৩ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ২০৪ রান তোলে কলকাতা। একশর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও সেখান থেকে তাদের টেনে তোলেন শার্দুল ঠাকুর ও রিংকু সিং। স্বাগতিকদের হয়ে মাত্র ২৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন শার্দুল। শুরুর দিকে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া রহমানুল্লাহ গুরবাজ করেছেন ৫৭ রান। এ ছাড়া তরুণ রিংকু খেলেছেন ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। বেঙ্গালুরুর হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আকাশ দ্বীপ ও শর্মা।
এইচজেএস