আহমেদাবাদে ড্র করে সিরিজ ভারতের
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই দাপট ছিল স্পিনারদের। এ কারণে ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছিল ইন্দোরের উইকেট। তবে সিরিজের শেষ টেস্টে এসে বদলে গেছে সব পরিসংখ্যান। রীতিমতো ৩৬০ ডিগ্রী মোড় নিয়েছে কন্ডিশন। সিরিজ জুড়ে দাপট দেখানো স্পিনাররা আহমেদাবাদে ছিলেন অসহায়। এই ব্যাটিং স্বর্গে শেষ পর্যন্ত ফলাফল ভাগাভাগি করেছে দুই দল।
বিনা উইকেটে ৩ রান নিয়ে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে উইকেট হারায় অজিরা। ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে কুহনেমানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন অশ্বিন। ৩৫ বলে ৬ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৬ রান।
কুহনেমানের পর উইকেটে আসেন মারনাস লাবুশেন। দ্বিতীয় উইকেটে লাবুশেন আর হেড প্রতিরোধ গড়েন। ২৯২ বলে ১৩৯ রানের জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার এই দুই ব্যাটার। তবে সফরকারীদের দ্বিতীয় উইকেট জুটির প্রতিরোধ গুড়িয়ে দেন অক্ষর প্যাটেল।
হেডকে বোল্ড করে টেস্টে উইকেটের ফিফটি পূর্ণ করেন প্যাটেল। টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন হেড। অজিদের এই ওপেনার আউট হওয়ার পর খেলা হয়েছে ১৯ ওভার। ৭৮.১ ওভারে অস্ট্রেলিয়া যখন ২ উইকেটে ১৭৫ রান করে, তখন ড্র মেনে নেয় দুই দল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। উসমান খাজা ও ক্যামেরন গ্রিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। খাজা করেছিলেন ১৮০ রান।
এরপর শুভমান গিল ও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৭১ রানে অলআউট হয়ে যায়।ম্যাচসেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি। ৩৯ মাস পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়ে ১৮৪ রান করেন কোহলি।
সিরিজসেরা হয়েছেন অশ্বিন। এবারের বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুইবার এক ইনিংসে পাচ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় এই স্পিনার।
এইচজেএস