এভাবেও ফিরে আসা যায়!
দীর্ঘ ৮ বছর পর লাল-সবুজ জার্সিতে আবারও বাইশ গজে। ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করতে নেমে খানিকটা হলেও স্নায়ুচাপে ভোগার কথা। কিন্তু এসবের ছিটেফোঁটাও ছিল না তার ব্যাটিংয়ে। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম বলেই চার হাঁকিয়েছেন রনি তালুকদার।
বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ বল আর রনির মোকাবেলা করা প্রথম বলটি স্যাম কারান রেখেছিলেন ব্যাক অব লেন্থে। অফ স্টাম্পের বাইরের এই বল ডিপ এক্সট্রা কভার অঞ্চল দিয়ে অনায়াসেই সীমানা ছাড়া করেন রনি। এমন একটা শট দেখতে পারা যেকোনো ক্রিকেট ভক্তের জন্যই চোখের প্রশান্তি!
বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করা রনি খুব বেশি দূর অবশ্য এগোতে পারেননি। তবে যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন ব্যাটিংটা উপভোগ করেছেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে নামের পাশে যোগ করেছেন ১৪ বলে ২১ রান।
বাংলাদেশের জার্সিতে এই ইনিংস খেলতে রনিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭ বছর ২৪৫ দিন বা ২৮০০ দিন। যা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক দুই ম্যাচের মধ্যবর্তী বিরতিতে দিনের হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
তার চেয়ে বেশি দিন বিরতি দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন কেবল দুই জন ক্রিকেটার। এই তালিকায় সবার উপরে আছেন কয়েক মাস আগেই প্রয়াত হওয়া মোশারফ হোসেন রুবেল। তার দুই ম্যাচের মধ্যে বিরতি ছিল ৩ হাজার ১২৩ দিন। আর ৩ হাজার ৬৬ দিনের বিরতি শেষে ফিরেছিলেন ফারুক হোসেন।
পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন বাংলাদেশের মোট ছয়জন ক্রিকেটার। মোশারফ রুবেল, ফারুক ও রনি ছাড়াও এই তালিকায় আছেন এনামুল হক বিজয় (২৪১৯ দিন), ফয়সাল হোসেন (২১৬৯ দিন) ও আবুল হোসেন রাজু (২০৭৬ দিন)।
এদিকে দিনের হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও, টি-টোয়েন্টি ম্যাচের হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসেই সবচেয়ে লম্বা সময় অপেক্ষায় ছিলেন রনি।
২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় এই ওপেনারের। তার অভিষেক ম্যাচের পর আরও ১০৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ দল। এই পুরো সময়টা ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। যা এর আগে করতে হয়নি আর কোনো ক্রিকেটারকে। তাই দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার এখন রনি।
এই রেকর্ড এতদিন ছিল আদিল রশিদের দখলে। টি-টোয়েন্টিতে রশিদের অভিষেকের পর ইংল্যান্ডের পরবর্তী ৯২ ম্যাচে দলে ছিলেন না এই স্পিনার।
এইচজেএস