ভূমিকম্পে বাবা হারানো শিশুর দায়িত্ব নেননি রোনালদো
তুরস্কের ভূমিকম্পে প্রায় সবই হারিয়ে ফেলেছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর খুদে ভক্ত নাবিল সাঈদ। যদিও তার ইচ্ছে ছিল, জীবনে একবার হলেও প্রিয় তারকার সঙ্গে দেখা করবে সে। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সম্প্রতি নাবিলের সঙ্গে দেখা করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ বছর বয়সী নাবিল তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দলের কাছে রোনালদোর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। সেই ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং তা সৌদি কর্তৃপক্ষের নজড়ে আসে।
জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ টুইটারে ক্লিপটি শেয়ার করেছেন এবং নাবিলের পরিচয় জানতে চেয়েছেন। এমনকি তিনি নাবিল ও তার মাকে সৌদি আরবে স্বাগত জানান।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, যখন নাবিলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, সে কার সঙ্গে সৌদি ভ্রমণ করতে চায়? নাবিল উত্তরে বলেছিল, ‘আমার বাবা এবং মা, কিন্তু দ্রুতই নিজেকে সংশোধন করে বলেছিল—তার বাবা আর নেই। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নাবিলের বাবা প্রাণ হারান।’
রোনালদোর খেলা দেখার পাশাপশি তার সঙ্গে দেখার করার ইচ্ছেও পূরণ হয়েছে নাবিলের। রোনালদোকে দেখার সঙ্গে ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’ বলে হাত মেলাতে যায় নাবিল। আর সেসময় নাবিলকে জড়িয়ে তার খোঁজখবর নেন রোনালদো।
রোনালদোর সঙ্গে দেখা করতে পেরে নাবিল জানায়, ‘আমি যখন রোনালদোকে দেখি, আমার কাছে মনে হচ্ছিল, এটা হয়তো একটা স্বপ্ন। আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি জানি না, কখন এই স্বপ্নের শেষ হবে। আমি আশা করি, এটা স্বপ্ন নয় সত্য।’
উল্লেখ্য, ভক্তের সঙ্গে রোনালদোর সাক্ষাতের খবরটির সঙ্গে একটি গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নাবিলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন রোনালদো। যা জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্টেও প্রচার করা হয়। যদিও তেমন কিছুর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে।
ফ্যাক্ট চেকিং সাইট বুম বাংলাদেশ টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কর্তৃক ভূমিকম্পে পিতা হারানো সিরিয়ার শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং সিরিয়ার উক্ত শিশুর সঙ্গে রোনালদোর দেখা করার বিষয়টিকেই শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
এইচজেএস