দ্রুত উইকেট হারালে ম্যাচ জেতা কঠিন : তামিম
ঘরের মাটিতে আবারও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেই যেন অসহায় আত্মসমর্পণ। শুক্রবার মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩২ রানের হারে তারা সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছে। ম্যাচ হারের জন্য অবশ্য দ্রুত উইকেট হারানোকে দায়ী করছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা আরও ব্যাকফুটে চলে যায়। হারের পর অধিনায়ক তামিম বলছিলেন, ‘আপনি যখন প্রথম ২-৩ ওভারে তিনটি উইকেট হারান, তখন এটি খুব কঠিন হয়ে যায়। আমি এবং সাকিব নিজেদেরকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার শটটি আজ বের হয়নি কিন্তু আমি অনুভব করেছি যে আমরা যখন ৩০০-এর বেশি তাড়া করছিলাম তখন এভাবেই খেলতে হতো। সাকিব যে অভিপ্রায় দেখিয়েছিল তা ভাল ছিল, কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটি স্থায়ী হয়নি।’
তবে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জেতার লক্ষ্যের কথা বলেছেন তামিম, ‘তবে আমরা সিরিজটা ভালোভাবে শেষ করতে চেষ্টা করব।’
নিজেদের বোলিং ইউনিট নিয়ে হতাশা ঝরেছে তামিমের কণ্ঠে, ‘আমি মনে করি আমরা যেভাবে বোলিং শুরু করেছি তা হতাশাজনক ছিল। প্রথম ৪-৫ ওভারে কিছুটা সুইং ছিল এবং আমরা রানআউটের কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। আপনি যখন এই ধরনের ম্যাচে হারেন, অনেকের দিকেই আঙুল তুলতে পারেন। কিন্তু আমি মনে করি আমরা একটি দল হিসেবে ভালো করতে পারিনি।’
তৃতীয় উইকেট হারানোর পর পথ দেখাচ্ছিলেন তামিম ও সাকিব। তবে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তাদের জুটিতে স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় ৮৯ রান। তবে ক্রিজে থিতু হয়েও তামিম ৩৫ রান প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দলের অন্যান্য ব্যাটাররা যখন যাওয়া-আসার মিছিলে ঠিক তখনই ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে অর্ধ-শতক পূর্ণ করে ক্রিজে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। তিনিও ফেরেন ৫৮ রান করে। পরে দলের হার দেখা প্রায় অনিবার্য হয়ে ওঠে।
আগামী ৬ মার্চ চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। তবে ম্যাচটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আর কিছু নয়। তবুও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলে সেটি হবে টাইগারদের জন্য কিছুটা স্বস্তির।
এসএইচ/এএইচএস