চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া, তবুও সমালোচনায় সাবেকরা
প্রথম দুই টেস্টে ভারতের কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে হেরেছিল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টেস্টে অজিরা যেন ভারতীয়দের ফর্ম নিয়েই ইন্দোরে নেমেছিল। ম্যাচের চলে মাত্র দু’দিন। এর ভেতরই ম্যাচের লাগাম প্রায় পুরোপুরি নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়ে এসেছে স্টিভ স্মিথের দল। এ নিয়ে সাবেক অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটারদের খুশি থাকার কথা ছিল! কিন্তু উল্টো তারা ইন্দোরের পিচ নিয়ে তীব্র সমালোচনায় নেমেছেন।
তৃতীয় টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে রোহিত শর্মার দল। শুরু থেকেই বেশ চাপে ছিল ব্যাটাররা। এই টেস্টে দুজনকে বদলি নামানো হলেও স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে তারা শ্রী দেখাতে ব্যর্থ। ২০ রানের অঙ্কে পৌঁছাতে পারেন মাত্র দুজন ব্যাটার। ফলও হলো তাই। মাত্র ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় বিরাট কোহলিদের ইনিংস।
এরপর সফরকারী অজিদের ব্যাটিং ছিল ভারতের চেয়ে কিছুটা গোছালো। তবে মিডল অর্ডার পর্যন্ত মোটামুটি খেলে গেলেও লোয়ার অর্ডারে তারাও হতশ্রী পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছে। কারণ ইন্দোরের পিচ’টা যে স্পিন-স্বর্গ! তাইতো প্রথম ইনিংসে অজিরা লিড পেলেও সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না সাবেক অজি ক্রিকেটাররা।
ম্যাচের প্রথম দিনেই মোট ১৪টি উইকেট পড়েছিল। ফলে ৩ দিনের মধ্যে আবারও প্রতিযোগিতা শেষ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রথম দিনেই হোলকার স্টেডিয়ামের পিচে স্পিনাররা অনেক টার্ন পেয়েছিলেন এবং এই পিচে ব্যাটারদের খেলা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। এভাবে চলতে থাকলে টেস্ট খেলার মান থাকবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ম্যাথু হেইডেন।
ধারাভাষ্যের দায়িত্বে থাকা এই অজি গ্রেট বলেন, ‘এটাকে বলা যায় ধ্বংসযজ্ঞ। আমার মনে হয়, এটা বললে খুব অন্যায্য হবে না যে এই পিচ টেস্ট মানের নয়। টেস্ট ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটেই বল স্পিন করছে, যা হতে পারে না।’
আরেক অস্ট্রেলিয় সাবেক ওপেনার ম্যাথু হেইডেন আছেন ধারাভাষ্য বক্সে। তার মতে, ‘প্রথম দিনেই এমন উইকেট ব্যাটসম্যানদের প্রতি অন্যায্য। যে কারণেই এরকম কন্ডিশন নিয়ে আমার আপত্তি। টেস্ট ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে কোনো অবস্থায় একজন স্পিনার আক্রমণে আসতে পারে না!’
টেস্ট ম্যাচের শুরুতেই এরকম পিচের টার্ন অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করেছেন হেইডেন, ‘৪.৮ ডিগ্রি টার্ন…এটা বিশাল টার্ন! এরকম টার্ন হয়তো ম্যাচের তৃতীয় দিনে প্রত্যাশা করা যায়। প্রথম সকালেই নয়। ব্যাটারদের তো কিছু সুযোগ দিতে হবে খেলার! প্রথম দু’দিন অন্তত ব্যাটসম্যানদের সুযোগ রাখতে হবে। স্পিন বোলারদের স্বর্গ বানানো জরুরি নয়, প্রথম দিন থেকেই বল এতটা নিচু হতে পারে না, প্রথম দিনেই এক মাইল টার্ন করতে পারে না!’
এরকম পিচ বানানোর পরিকল্পনা থাকলে তিন দিনের টেস্ট আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি, ‘যেভাবে খেলা এগোচ্ছে, দর্শকদের জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে যে, চতুর্থ দিনের টিকেট নিয়ে তারা কী করবেন! টেস্ট ম্যাচে তো চতুর্থ-পঞ্চম দিন বলে কথা আছে! নইলে স্রেফ তিন দিনের ম্যাচ ঘোষণা দিয়ে দিলেই তো হয়।’
এএইচএস