প্রথম হ্যাটট্রিকেই জুভেন্তাসকে পার করলেন ডি মারিয়া
আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও ক্লাবের জার্সিতে ডি মারিয়া একজন পরীক্ষিত উইঙ্গার। তবে চোটের শঙ্কা ও বয়স বিবেচনায় এই বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ডকে ম্যাচের পুরো সময়টাতে মাঠে দেখা যায় না। ফলে গোল করা ও করানোতে অবদান রাখলেও বড় স্কোরের সুযোগ পান না মারিয়া। সেই কারণেই কিনা হ্যাটট্রিক পেতে ৫ বছর সময় লেগেছে মারিয়ার। ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকেই তিনি দলকে পার করেছেন ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয়।
গত সপ্তাহে হওয়া নঁতের বিপক্ষে প্রথম লেগে অনেকটা নিষ্প্রভ ছিলেন ডি মারিয়া। প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় দ্বিতীয়ার্ধে তাকে তুলে নিয়েছিলেন জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। সতীর্থরাও ম্যাচ বের করতে পারেননি। ফলে ১–১ সমতায় শেষ হয়েছিল সেই ম্যাচ।
সেই মারিয়াই দ্বিতীয় লেগের দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিলেন। ডি মারিয়ার প্রথম হ্যাটট্রিকে ঘরের মাঠে ফরাসি ক্লাব নঁতেকে ৩–০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে জুভেন্টাস। ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা সর্বশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে পিএসজির হয়ে ফরাসি কাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। জুভেন্তাসের হয়ে নিজের ব্যক্তিগত অর্জনের দিনে পুরো স্কোরলাইনই দখলে নিয়েছেন মারিয়া।
এদিন নিজের পছন্দের পজিশন ডান উইং ছেড়ে মারিয়া খেলেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। তবে গতি ও আক্রমণের মাধ্যমে তিনি জুভ স্ট্রাইকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ম্যাচের মাত্র পাঁচ মিনিটেই দলের জন্য প্রথম লিড এনে দেন মারিয়া। নিকোলো ফাজিওলির চার ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দেওয়া পাসে মারিয়া নিখুঁত শট নেন। তবে পরের গোলের পুরোটাই তিনি করেন নিজের কৃতিত্বে। ১৭ মিনিটে তার নেওয়া শট রুখে দেন নঁত গোলরক্ষক লাফোঁ। বল আবার আসে দি মারিয়ার পায়ে। কিন্তু গোলরক্ষক এবার ভুল করে বসেন। বক্সে হাত দিয়ে বল ঠেকানোয় রেফারি তাকে লালকার্ড দেখান। পরে সফল স্পট কিক থেকে মারিয়া দলের ও নিজের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তুরিনোর শিষ্যরা।
৭৭ মিনিটেই আসে মারিয়ার দীর্ঘ বিরতির কাঙ্ক্ষিত হ্যাটট্রিক। তবে এবার সহায়তা নিতে হয়েছে প্রযুক্তির। গোলপোস্টে পাঠানো মারিয়ার বলটি ঠেকালেও সেটি নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়। নঁতের গোলরক্ষকের পা গোললাইন ক্রস করেছে কিনা এ দ্বন্দ্বে রেফারি প্রথমে গোল দিতে নারাজি দেখান। পরে প্রযুক্তির কল্যাণে সেটি গোল হিসেবে সাব্যস্ত হয়। এরপরই ডি মারিয়ার সাদামাটা উদযাপন।
দলবদলের চুক্তি ও অর্থ নিয়ে মিথ্যাচার করায় জানুয়ারিতে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জুভেন্টাসকে ১৫ পয়েন্ট জরিমানা করে। এরপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দলের পারফরম্যান্সে। সেই দলটাই ফেব্রুয়ারিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সব প্রতিযোগিতায় রয়েছে অপরাজিত।
এই ম্যাচ জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪–১ অগ্রগামিতায় উয়েফা ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয় উঠে গেছে জুভেন্টাস। আজ বিকেলে এই রাউন্ডের ড্র শেষে জানা যাবে ইতালিয়ান পরাশক্তির পরবর্তী প্রতিপক্ষের নাম।
এএইচএস