দলের পরিকল্পনায় না থাকায় অবসর নিলেন রামোস
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের কিংবদন্তী ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। এর মাধ্যমে স্পেনের হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামোস নিজেই।
পোস্টে রামোস জানান, সম্পতি ফোন করে কোচ তাকে জানিয়েছিলেন তিনি দলের পরিকল্পনায় নেই। সে কারণেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
রামোস লেখেন, ‘অনেক দুঃখের সঙ্গে ভ্রমণটা শেষ হচ্ছে। যা আরও দীর্ঘ ও বিদায়টা মধুর হতে পারতো। আমি এমনটিই আশা করেছিলাম।’
‘আমার এ ক্যারিয়ারের শেষটা হওয়া উচিত ছিল আমার নিজের সিদ্ধান্তে। কিংবা জাতীয় দলে আমার পারফরম্যান্স মানসম্পন্ন নয়, এমন কারণে। কিন্তু আমার বয়স বা এমন কারণে জাতীয় দলের ক্যারিয়ার শেষ হবে সেটা ভাবিনি। তাদের (কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্ট) কাছ থেকে তেমন কিছু শুনিনি। যদিও আমার কাছে এমনই মনে হয়েছে।’
৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার লেখেন, ‘তরুণ বা কম তরুণ হওয়া কোনোভাবেই গুণ বা ত্রুটি নয়। এটা শুধু ক্ষণস্থায়ী একটি বৈশিষ্ট্য। যার সঙ্গে পারফরম্যান্স বা সামর্থ্যের সম্পর্ক থাকতে হবে, আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। আমি মদ্রিচ, মেসি, পেপের প্রশংসা করি ও ঈর্ষা করি (এই বয়সেও দাপিয়ে ফুটবল খেলে যাচ্ছেন, এটা বোঝাতে চেয়েছেন)। ফুটবলের এই ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, যোগ্যতা ও সুবিচার দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার ক্ষেত্রে এমন হবে না। কারণ ফুটবল সব সময় ন্যায্য নয়।’
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর গত দুই বছর স্পেন জাতীয় দলে ডাক পাননি রামোস। বার বার চোটে পড়া ও কোচ লুইস এনরিকে তরুণদের বেশি পাধান্য দেওয়ায় এসময় উপেক্ষিত থেকেছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) তারকা।
যদিও ভক্তদের চাওয়া ছিল- আগামী মার্চে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে রামোসকে ফের দলে ডাকবেন নতুন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। অবশ্য এর আগেই জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন রামোস।
স্পেনের সোনালী প্রজন্মের ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রামোস। দেশের জার্সিতে ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো জয়ের পাশাপাশি ২০১০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন তিনি।
২০০৫ সালে সান ম্যারিনোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় রামোসের। এরপর থেকে ১৮০ ম্যাচে স্পেনের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন তিনি। এই ম্যাচগুলোতে মোট ২৩টি গোল করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার।
এনইআর/কেএ