জেলফেরত লামিচানের সঙ্গে হাত মেলাতে স্কটিশদের অনীহা
নেপালের এক তরুণীর করা যৌন নিপীড়নের মামলায় চার মাসের মতো জেল খেটেছিলেন ক্রিকেটার সন্দ্বীপ লামিচানে। গত ডিসেম্বরে জরিমানা ও বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞার শর্তে তাকে জামিন দেন দেশটির আদালত। আরও মাস খানেক পর তার ক্রিকেট খেলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। মাঠে ফেরাতেই তাকে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। মাঠে ফেরার পরও সেই রেশ রয়ে গেছে। আগে থেকে ক্রিকেট মাঠে লামিচানের আগমনের বিরোধীতা করা স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তার সঙ্গে হাত মেলাতেও রাজি নন!
এর আগে ক্রিকেটে লামিচানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘটনায় সপ্তাহজুড়ে নেপালের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। একইসঙ্গে নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ বয়কটের আহবান জানান তারা। পরে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাকে দলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় দেশটির ক্রিকেটাররাও নিরব প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।
নেপালের কীর্তিপুরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আইসিসি বিশ্বকাপ লিগ-২ এর ম্যাচ শুরু হয়েছে। নামিবিয়াসহ তিনজাতির এই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে শুক্রবার স্কটল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে নেপাল। বল হাতে ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে এই জয়ে অবদান রেখেছেন লামিচানে। কিন্তু ম্যাচ শেষে দলের সতীর্থদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটাররা হাত মেলালেও, তার বেলায় হাত নিচু করে রাখেন তারা।
আরও পড়ুন : ‘দলে ফিরছেন লামিচানে, স্কটল্যান্ডের আপত্তি’
প্রাথমিকভাবে স্কটল্যান্ডের পরিকল্পনা ছিল, পুরো নেপাল দলকেই হাত মেলানোর সময় এড়িয়ে যাবেন তারা। তবে পরে তারা ঠিক করেন, শুধুমাত্র লামিচানের বেলায় হাত নিচে রাখা হবে। এটিকেই অধিক শক্তিশালী প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন তারা।
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেই নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলার অনুমতি পান ২২ বছর বয়সী আলোচিত এই স্পিনার। নামিবিয়ার বিপক্ষে গত মঙ্গলবারের ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। সেদিন ৬৬ রানে নেন ৩ উইকেট। ওই ম্যাচেও নামিবিয়ার ক্রিকেটাররা শুরুতে লামিচানের সঙ্গে অন্য ক্রিকেটারদের মতোই স্বাভাবিক আচরণ করেন। কিন্তু ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে হাত মেলাননি তারা।
২০১৮ সালে অভিষেকের পর ৩০টি ওয়ানডে ও ৪৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন লামিচানে। বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট এবং তৃতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে তিনি টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেট শিকার করেন। পারফর্ম্যান্সের সুবাদে একপর্যায়ে তাকে জাতীয় দলের নেতৃত্বভারও দেওয়া হয়।
এএইচএস