নারী ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব, আকসুকে জানিয়েছে বিসিবি
নারী বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দলের বাইরে থাকা আরেক ক্রিকেটার। একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা অবগত রয়েছেন। তবে এটি তদন্ত করার পুরো দায়িত্ব আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) ওপর পড়েছে। নাদেল বলেন, 'আমরা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছি। আইসিসি এখন তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আমাদের এই মুহূর্তে বলার কিছু নেই এবং করণীয়ও কিছু নেই। যেহেতু এটা আকসুর বিষয়, তারা সহযোগিতা চাইলে আমরা করব।'
নাদেল যোগ করেন, 'আমাদের খেলোয়াড় যখন প্রস্তাব পায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন সে ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি জানায়। এরপর সেখান থেকে বিসিবিকে জানানো হয় পরবর্তীতে বিসিবি আইসিসিকে জানিয়েছে। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (আকসু) এখন বিষয়টা দেখছে। এখন আইসিসির এখতিয়ার, তারা যেটা করবে।
এর আগে দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়, জাতীয় দলের বাইরে থাকা সোহেলি ইসলাম বিশ্বকাপ স্কোয়াডের এক সদস্যকে ফিক্সিংয়ের ইস্যু নিয়ে প্রস্তাব দেন। যদিও আফ্রিকায় থাকা সেই ক্রিকেটার এ প্রস্তাবে রাজী হননি। দুজনের কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।
কোনো ক্রিকেটারকে ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচের কোনো তথ্য ফাঁস করার প্রস্তাব দেওয়া হলে দ্রুতই তা দুর্নীতি বিভাগকে জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে আইসিসির। দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়ে কোনো ক্রিকেটার তা গোপন করলেও আছে শাস্তির বিধান। তিনবার এরকম প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন রাখায় শাস্তি পেতে হয়েছিল টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।
এসএইচ/এফআই