সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া করে বিতর্কে নেইমার
দলে ছিলেন না দুই তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে। তাই বাড়তি দায়িত্ব ছিল নেইমারের কাঁধে। কিন্তু তিনিও পারলেন না। আরও একটি ম্যাচ হারের সাক্ষী হয় পিএসজি। শনিবার ক্রিস্টোফ গালটিয়ের দলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মোনাকো।
ফরাসি কাপ থেকে বিদায় এবং মেসি-এমবাপের অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে পিএসজি। নেইমার থাকলেও লিগ ওয়ানের ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে ফরাসি জায়ান্টরা হতাশা উপহার দিয়েছে। প্রতিপক্ষের দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন ব্রাজিল সুপারস্টার।
এদিকে, হতাশার হারের পর সতীর্থ ও টিম ডিরেক্টরের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঝগড়ায় জড়ালেন নেইমার। সেই ঝগড়া গড়ায় ড্রেসিংরুম পর্যন্ত। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে কুইপে জানিয়েছে, মোনাকোর বিপক্ষে প্রথম একাদশ নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না নেইমার। মাঠে খেলা চলাকালীন মাঝেমধ্যে সতীর্থদের সঙ্গে তর্ক হচ্ছিল তাঁর। দল যে ঐক্যবদ্ধভাবে খেলছে না সেটি বোঝা যাচ্ছিল। যার ফলও পাওয়া যায় হাতেনাতে।
ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন নেইমার। হুগো একিটিকের সঙ্গে ঝগড়া হয় তাঁর। আর এক সতীর্থ ভিটিনহার ওপরেও রাগ দেখান নেইমার। এদিকে, দলের খেলায় খুশি হতে পারেননি পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস। ফুটবলাররা সাজঘরে ফিরলে তাদের তুলোধনা করতে থাকেন তিনি। সেটা মেনে নিতে পারেননি নেইমার। ক্যাম্পোসের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। নেইমারের সঙ্গে যোগ দেন আর এক ব্রাজিলীয় মারকুইনোসও।
তবে বিবাদ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফ গালটিয়ের। তিনি দলের খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। গালটিয়ের বলেন, ‘দলের মধ্যে কোনো তাগিদ দেখা যাচ্ছিল না। তার জন্য আমরা বারবার হারছি। এটা লুকোনোর জায়গা নেই। কেন এটা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দলের কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কিন্তু হচ্ছে না।’
নতুন বছর ভালো যাচ্ছে না পিএসজির। এর মধ্যেই তিনটি ম্যাচ হেরেছে তারা। চোটের কারণে দলের বাইরে এমবাপে, মেসি। আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সামনে বায়ার্ন মিউনিখ। সেই ম্যাচে এমবাপেকে পাবে না পিএসজি। তাই বাকিদের ওপরেই ভরসা করতে হবে গালটিয়েরকে। কিন্তু দলের অন্দরের যা অবস্থা তাতে যথেষ্ট চাপে তিনি।
এফআই