ভিন্ন ভিন্ন স্টেটমেন্ট, ১২ বছরের জেল হতে পারে আলভেজের!
যৌন হয়রানির অভিযোগে ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজ। তার বিরুদ্ধে বার্সেলোনার এক নারীর করা অভিযোগের ঘটনায় ক্রমাগত নতুন মোড় নিচ্ছে। তবে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে ভিন্ন ভিন্ন স্টেটমেন্ট দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে আলভেজের বিরুদ্ধে। প্রথমে ওই নারীকে চেনার কথা অস্বীকার করেন, পরবর্তী দুই দফায় তাকে চিনলেও আলভেজ অপরাধের কথা অস্বীকার করেন। সর্বশেষ চতুর্থ জবানবন্দীতে অভিযোগ স্বীকার করেছেন তিনি!
স্প্যানিশ সাংবাদিক কার্লোস কিলেজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মার্কা। এ ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আলভেজের ১২ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়।
মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম জবানবন্দিতে আলভেজ বলেছিলেন, তিনি ২৩ বছর বয়সী ওই নারীকে চেনেন না। পরে তিনি ভুক্তভোগীকে রেস্তোরাঁয় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তৃতীয়বার তিনি ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে চতুর্থবার এসে আলভেজ সরাসরি যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।
আদালতে পুমাস ও বার্সার সাবেক তারকার দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন স্টেটমেন্টে ক্রমেই আইনি প্রক্রিয়া জটিল হচ্ছে। সে কারণে বিচারক আলভেজের বিরুদ্ধে আরও বেশি যুক্তিতর্কের আহবান করতে পারেন। একইসঙ্গে আলভেজের ব্রাজিলিয়ান আইনজীবীকে কৌশল পরিবর্তন করে ভুক্তভোগীর অনুমোদনের বিষয়টির ওপর ফোকাস করতে হবে।
আলভেজের মডেল স্ত্রী হোয়ানা সাঞ্জের বিশ্বাস যাতে না ভাঙে সে কারণেই তিনি ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন বলে মার্কার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি কারাগারে থাকা আলভেজের সঙ্গে দেখা করেছেন স্ত্রী সাঞ্জ।
গত বছরের ডিসেম্বরে শাশুড়ির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে আলভেজ মেক্সিকো থেকে বার্সেলোনায় যান। সেখানে অবস্থানকালে ৩১ ডিসেম্বর একটি নাইট ক্লাবে তার বিরুদ্ধে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০ জানুয়ারি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলভেজকে গ্রেফতার করে বার্সেলোনা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এএইচএস