রায়নার কাছে দেশের চেয়েও ‘ধোনি’ গুরুত্বপূর্ণ
ভারতের ক্রিকেটে মাহেন্দ্র সিং ধোনি এক ইতিহাস গড়া নাম। এই এক অধিনায়কই যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতকে আবার নতুন করে চিনিয়েছেন। ২৮ বছর পর দেশকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি তার নেতৃত্বে ভারত জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার নেতৃত্বেই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে চোখ নিজেদের জাত চেনাতে পেরেছে ভারত।
ভারতের অধিনায়ক ও একজন খেলোয়াড় হিসেবে প্রাপ্তির প্রায় সবটুকুই নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ধোনি। অবসর নিয়েছেন ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট। হুট করেই এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান তিনি। এর আধা ঘণ্টা পরেই ঘটে অদ্ভুত এক ঘটনা। টুইটারে পোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন সুরেশ রায়না।
এবার আসা যাক আগের গল্পে। সুরেশ রায়না যখন জাতীয় দলে আসেন তখন ধোনি ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলেছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। মাঠে দুর্দান্ত ফিল্ডিং এবং ফিনিশিংয়ের ভূমিকা পালন করে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠছিলেন তিনি। আইপিএলেও তিনি খেলতেন ধোনির দলের হয়ে। একসাথে দুজনে চেন্নাই সুপার কিংসকে জিতিয়েছেন অসংখ্য ট্রফি।
অনেকের ধারণা, ধোনি আর রায়না পরিকল্পনা করে একই দিন অবসরের ঘোষণা নিয়েছেন। ধোনির বয়স ছিল ৩৯ বছর, অবসরের ঘোষণা তিনি দিতেই পারেন। কিন্তু ৩৩ বছরের রায়না কেন অবসরের ঘোষণা দিলেন সেটা নিয়ে কৌতূহল ছিল সবার মনে। এবার সে প্রশ্নের উত্তর দিলেন এই ক্রিকেটার। আর এমনই উত্তর দিলেন এই ক্রিকেটার যা শুনে ভ্রু কুঁচকে যাওয়ার মতোই অবস্থা হয়েছে সবার।
স্পোর্টস তাককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি আমরা। তার সঙ্গে ভারত এবং চেন্নাইয়ে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। একে অন্যের প্রতি অনেক টান আমাদের। আমি প্রথমত ধোনির জন্য খেলতাম। এরপর দেশের জন্য। এটাই যোগসূত্র।’
এনইআর