একই দিনে বাদ ঢাকা-খুলনা-চট্টগ্রাম
বাস্তবতার বিচারে তিন দলেরই খুব একটা সুযোগ ছিল না। তবে গাণিতিক হিসাবে কিছুটা হলেও টুর্নামেন্টে টিকে ছিল ঢাকা ডমিনেটরস, খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেই আশাটুকুও এবার শেষ করে দিল রংপুর রাইডার্স। লিগ পর্বে নিজেদের নবম ম্যাচে জয় নিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর।
রংপুরের জয়ে আশা ফুরিয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের। শুক্রবার দিনের আরেক ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে হেরে এক ম্যাচ আগেই বাদ পড়েছে খুলনা টাইগার্স। পয়েন্ট টেবিলে এই তিন দলের অবস্থা বেশ শোচনীয়। ১০টার মতো ম্যাচ খেলে কেউই জিততে পারেনি ৩টির বেশি ম্যাচ। চট্টগ্রাম-খুলনা জিতেছে মোটে দুই ম্যাচ করে।
গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি খুলনা। মিডল ওভারে রানের লাগাম টেনে শেষের দিকে এসে বেশ রান দিয়েছেন খুলনার বোলাররা। তাতে ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়ে যায় সাকিব আল হাসানের বরিশাল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমেও কোনো লড়াই করতে পারেনি খুলনার দলটি। রানের ব্যবধানে ব্যাপক পিছিয়ে যাওয়ার পর শেষদিকে কিছু রান তুলেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তবে ৩৮ বলে তার ৬০ রানের সে ইনিংস কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। ৩৭ রানের জয় পেয়েছে বরিশাল।
আরেক ম্যাচে ঢাকা অবশ্য লড়াই করেছে বেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই জিইয়ে রেখেছেন ডমিনেটরসদের অধিনায়ক নাসির হোসেন। বল হাতে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শরিফুলও, নিয়েছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে ব্যাটিংয়েই যে আবারও ধরাসায়ী ঢাকা।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আরিফুল আর বোলারদের ক্যামিওতে কোনোমতে ১৩০ ছুঁয়েছে ঢাকার দলটি। বরাবরের মতোই ব্যর্থ হয়েছে দলের টপ অর্ডার। প্রথম তিন ব্যাটারের কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে একটু চাপে পড়লেও নুরুল হাসান সোহানের ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি।
এনইআর