৩০০ জার্সি দিয়ে কী করেন মেসি?
যেকোনো ফুটবল ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের জন্য তিনটি করে জার্সি বানানোর নিয়ম। কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির ক্ষেত্রে এ নিয়মের কোনো বালাই নেই। সময়ের অন্যতম সেরা এ তারকার প্রত্যেক ম্যাচ উপলক্ষ্যে বানানো হয় ৩০০টি করে জার্সি। কিন্তু এতোগুলো জার্সি দিয়ে কী করেন মেসি?
ফুটবলের জাদুকর মেসির ভক্ত-সমর্থক সাড়া বিশ্বজুড়ে। সময়ের অন্যতম সেরা এ তারকাকে ঘিরে উন্মাদনার কমতি নেই সতীর্থ এবং প্রতিপক্ষের মধ্যেও। ঠিক এ কারণেই ম্যাচ শেষে মেসির ব্যবহৃত একটি জার্সি পাওয়ার জন্যও উন্মুখ হয়ে থাকেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। এমনকি খেলার আগেই জার্সি চেয়ে রাখার ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার।
মাঠের খেলোয়াড় ছাড়াও মেসিকে ঘিরে উন্মাদনা থাকে স্টাফ, জার্সির স্পন্সর, টেকনিশিয়ানসহ জার্সি প্রস্তুতকারক টিমের। তাই মেসির জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন মেসির এক ম্যাচ উপলক্ষ্যে বানান ৩০০ জার্সি। আর এ জার্সির মধ্যে তিনটি পান মেসি। তারকা খেলোয়াড়ের বাকি জার্সিগুলো পেয়ে থাকেন স্পন্সর, খেলোয়াড়, স্টাফ, টেকনিশিয়ানরা ও মেসির সমর্থকরা।
সময়ের অন্যতম সেরা তারকা মেসি। চলতি বিশ্বকাপেও আছেন দারুণ ফর্মে। ৪ গোল ও বেশকিছু অ্যাসিস্টে দলকে টেনে তুলেছেন বিশ্বমঞ্চের সেমিফাইনালে। তাই উন্মাদনার কেন্দ্রে থাকাই তো স্বাভাবিক সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকার। তবে মেসির জার্সি নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের উন্মাদনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তার সতীর্থ এমিলিয়ানো মার্টনেজ।
‘বাজপাখি’ নামে পরিচিত এ গোলরক্ষক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি তাদের (জার্সি প্রস্তুতকারকদের) জিজ্ঞেস করলাম, প্রতি ম্যাচে মেসির জন্য কতটি জার্সি বানানো হয়? তারা জানাল প্রায় ২০০ থেকে ৩০০টি বানানো হয় যাতে যারা মেসির জার্সি চায় তাদের দেওয়া যায়। সেসময় আমরা দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি এবং তারা মেসির জন্য ৬৫০টি পরিধানযোগ্য জার্সি তৈরি করে রেখেছিল। স্পন্সর, খেলোয়াড়, স্টাফ, টেকনিশিয়ান- সবাই একটি জার্সি চায়। কারণ এটি তো মেসির জার্সি!’
বিশ্বকাপ জয় থেকে এখন মাত্র দুই ধাপ দূরে আছে মেসির আর্জেন্টিনা। সেমির লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। আজ দিবাগত রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে গাজী টেলিভিশন, টি-স্পোর্টস ও বিটিভি সরাসরি সম্প্রচার করবে ম্যাচটি।