ড্রয়ে আশা বাঁচাল জার্মানি
জাপানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্টের শুরুতেই ব্যাকফুটে জার্মানি। শেষ ষোলর আশা বাঁচাতে স্পেনের বিপক্ষে জয়টা ছিল বেশ জরুরি। তবে ড্র করলেও বাদ পড়বে না ৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু মহাগুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে ৮২ মিনিট পর্যন্ত হারের পথেই হাঁটছিল হ্যান্সি ফ্লিকের দল। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটি খাঁদের কিনারা থেকে উদ্ধার করেন নিকলাস ফুয়েলখুগ। ২৯ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকারের গোলে হার এড়িয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল জার্মানি।
দোহার আল বাইত স্টেডিয়ামে রোববার স্পেনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে জার্মানি।
এই ড্রয়ে শেষ ষোলর আশা বাঁচলেও সমীকরণটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াল জার্মানির জন্য। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে তাদের জিততে তো হবেই, সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকেও। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে স্পেন। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জাপান। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে কোস্টারিকা। ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে জার্মানি।
কোস্টা রিকাকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা স্পেন আজও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। গোলও হতে পারত প্রথমেই। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে থেকে দানি ওলমোর বুলেট গতির শট গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের হাতে লেগে ক্রসবারে বাধা পায়।
৩৪তম মিনিটে ওলমোর পাস থেকে বক্সে দারুণ পজিশনে বল পেয়েছিলেন ফেররান তরেস। কিন্তু শট লক্ষ্যে না রেখে উড়িয়ে মেরেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।যদিও লাইন্সম্যান পরে অফসাইডের পতাকাও তুলেছিলেন। পাঁচ মিনিট পর আন্টোনিও রুডিগার হেডে বল জালে পাঠালে উল্লাসে মাতে জার্মানি, তবে ভিএআরে অফসাইডের সিদ্ধান্তে থেমে যায় তাদের উদযাপন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুদলই। ৫৬ তম মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। তবে জসুয়া কিমিখের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন।
তিন দিন আগে গোল উৎসবের ম্যাচে কোস্টা রিকার জালে শেষ গোলটি করা মোরাতা এবার মাঠে নামার আট মিনিটের মাথায় এগিয়ে নেন দলকে। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার পাস বক্সে পেয়ে দুর্দান্ত এক ফ্লিকে গোলটি করেন আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
দুই মিনিট পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারত তারা। কিন্তু ওলমোর পাস বক্সের বাইরে ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন মার্কো আসেনসিও। গোলের জন্য মরিয়া জার্মানি ৭২ ও ৭৪তম মিনিটে দুট ভালো আক্রমণ করেও জাল ভেদ করতে পারেনি।
৮৩তম মিনিটে গোলের দেখা পায় জার্মানরা। মুসিয়ালার বাড়ানো বলে জার্মানদের সমতা এনে দেন ভার্ডার ব্রেমেনের ফরোয়ার্ড ফুয়েলখুগ। এরপর আরও দুটো ভালো আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি জার্মানি। তাতে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।