১৬ ওভারে বাংলাদেশের চাই ১৫১
বৃষ্টি থেমে গেছে অনেক আগেই। খেলা শুরু হচ্ছে আর ২০ মিনিটের মধ্যেই। ওভার কমে এসেছে, কমেছে বাংলাদেশের লক্ষ্যও। এখন ৯ ওভারে বাংলাদেশের চাই ৮৫ রান।
এর আগে ১৮৫ রানের লক্ষ্যতাড়ায় শুরুর প্রয়োজন, লিটন দাস ঠিক সেই শুরুটাই এনে দিয়েছিলেন দলকে। ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন মাত্র ২১ বল খেলেই। তবে ওপাশে শান্ত যেন একেবারে শ্লথ, লিটনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে তিনি ১২ বল খেলে করেছিলেন মোটে ৪ রান।
লিটন আজ ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন বৈকি! দ্বিতীয় ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। দীনেশ কার্তিক সে বলটা হাতে নিয়ে উদযাপনও শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে পরে আম্পায়ার্স রিভিউতে দেখা গেল, বলটা কার্তিকের হাতে পৌঁছানোর আগে মাটি ছুঁয়ে গিয়েছিল।
এরপর আবারও ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন। সেটাও দীনেশ ধরতে পারেননি।
অ্যাডিলেড ওভাল এরপর দেখেছে লিটন দাসের রুদ্ররূপ। ৭ চার আর তিন ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ফিফটি, তাও মাত্র ২১ বল খরচায়।
লিটন যখন বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন উড়ন্ত এক সূচনা, ওপাশে শান্ত ছিলেন দারুণ ‘শান্ত’। পাওয়ারপ্লেতে ১২ বল খেলে শান্ত করেছেন মোটে ৪ রান। নাহয় বাংলাদেশের সংগ্রহটা আরও বড় হতো বৈকি!
তবে যা হয়েছে তাও কম কিছু হয়নি। সাত ওভার শেষেই বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৬৬ রান।
এর মধ্যে অ্যাডিলেডের মাঠে নেমে আসে বৃষ্টি। খেলা হয়ে যায় বন্ধ। বৃষ্টি যদি এভাবেই চলতে থাকত তাহলে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে জিতে যেত বাংলাদেশ। তখন বৃষ্টি আইনে ভারতের চেয়ে ১৭ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।