সিনিয়রদের অবসর নিয়ে মুখ খুললেন জ্যোতি
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বাছাই-পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। সেই ট্রফি জয় শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন নারী দলের সকল সদস্য ও কোচিং স্টাফরা। দেশে ফিরে গণমাধ্যমে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানালেন, এই সাফল্য আসন্ন এশিয়া কাপে কাজে দেবে।
১ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে নারী দলের এশিয়া কাপ। যেখানে আসরের প্রথম ম্যাচেই লড়বে বাংলাদেশের নারীরা, প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড।
ঢাকায় ফিরে জ্যোতি বললেন, ‘আমি বলবো এটা আমাদের জন্য সেরা প্রস্তুতি ছিল। কারণ ম্যাচ প্র্যাকটিসের উপর কোন প্রিপারেশন হতে পারে না। যেহেতু আমরা ওখানে একটি ফরমেটে খেলে এসেছি সেটা আমাদেরকে এশিয়া কাপে হেল্প করবে। কারণ কম বেশি আমরা সবাই ওই টুর্নামেন্টে খেলেছি। যেহেতু আমরা অলমোস্ট সেইম টিম পাচ্ছি এবং এশিয়া কাপে যদি আমরা টিমওয়েজ কাজ করতে পারি আমার কাছে মনে হয় এশিয়া কাপে ভালো একটা ফল আসবে।’
দলের জন্য সবাই চাই কিছু না কিছু করতে, দুবাইতে বাছাইপর্বে দেখবেন একজন না পারলেও আরেকজন ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেছেন। জ্যোতি বলছেন এই কাজটায় যদি সবসময় করা যায় তাহলে আমরা বিশ্বক্রিকেটে ভালো কিছু করবো, এমনটায় মনে করেন নারী দলের এই অধিনায়ক।
জ্যোতি এনিয়ে বলেন, ‘এখানে আসলে যারা সিলেকশন প্যানেলে আছেন, স্যারেরা আছেন তারা কিন্তু খুব ভালোভাবেই এটা কাভারআপ করেছেন। কিছু সিনিয়র প্লেয়ার আছেন যারা টিমের বাইরে ছিলেন। ফারজানা আপু কবিদের জন্য টিমের বাইরে ছিলেন অন্যদিকে জাহানারা আপু চোটের কারণে দলে থাকতে পারেননি। তারপরেও আমাদের টিমে যে কম্বিনেশন ছিল এবং যারা ব্যাকআপ প্লেয়ার ছিল তারা কিন্তু সবসময়ই চাই দলের জন্য কিছু করতে। আমাদের দলের জন্য একটা দারুণ বিষয়ক কেউ একজন ভালো না করতে পারলেও অন্য কেউ অন্য কেউ দাঁড়িয়ে যায়। তাই এই জিনিসটা যদি আমরা নিয়মিত করতে পারি আমার কাছে মনে হয় বিশ্ব ক্রিকেটে আমরা খুব ভালো কিছু করবো।’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসর নিয়ে অধিনায়ক জ্যোতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমত এটা কিন্তু বলা যায় না যে এটা কার শেষ ওয়ার্ল্ড কাপ। এখানে অনেক সময় খেলোয়ারদের ব্যক্তিগত একটা ডিসিশন থাকে। এখানে যারা সিনিয়র খেলোয়ার আছেন তারা কিন্তু ভালো পারফর্ম করে চাচ্ছেন দলের জন্য খেলে যাচ্ছেন। স্পেশালি আমি যদি বলি রুমানা আহাম্মেদ প্লেয়ার অফ দা ফাইনাল হয়েছেন। সালমা আপু কিন্তু কন্টিনিউয়াসলি টিমের জন্য ভালো বল করে যাচ্ছেন। তাই আমি বলবো সিনিয়ররা কিন্তু একটা ভিত গড়ে দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের হাত ধরেই কিন্তু জুনিয়ররা উঠে আসছে তারাও কিন্তু ভালো পারফরম্যান্স করছে।’
এসএইচ/এটি