বাংলাদেশকে হারাতে না পেরে পদত্যাগ নেপাল কোচের
শেষ বাঁশি বাজতেই বাংলাদেশের মেয়েরা মেতে উঠলেন শিরোপার উল্লাসে। ঠিক বিপরীত দৃশ্যটা ছিল নেপালের। হতাশায় মুষড়ে ডাগআউটের। হারের বিষাদ যেন কোনোভাবেই হজম করতে পারছিলেন না স্বাগতিক ফুটবলাররা, পারছিলেন না কোচ কুমার থাপাও। সেটা যে শেষমেশ হজম করা হলোই না তার, সে প্রমাণ মিলল একটু পর। বাংলাদেশকে হারাতে না পারার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগই করে বসলেন নেপাল কোচ।
ফাইনালের আগে বাংলাদেশকে যথেষ্ট সমীহের চোখে দেখছিলেন নেপালি এই কোচ। নিজ দলের চেয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছিলেন থাপা।
তবে মনের কোণে যে শিরোপার আশাটা ছিল না, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। ঘরের মাঠে খেলা, স্বাগতিক দর্শকদের সামনে শিরোপার স্বপ্ন কার না থাকে? থাপারও ছিল।
কিন্তু কৃষ্ণা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, রুপনা চাকমারা সেটা হতে দেননি। ফলে শিরোপা ওঠে বাংলাদেশের হাতে।
সে কারণেই পদত্যাগ করে বসেন নেপাল নারী ফুটবল দলের কোচ। পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে থাপা বলেন, ‘আমি নেপাল জাতীয় নারী দলের কোচের পদ ছেড়ে দিচ্ছি। সাফল্য না পেলে এখানে তার এই পদ আঁকড়ে ধরে রাখা মোটেও উচিত নয়।’
সদ্যসমাপ্ত ২০২২ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ মোট ২৩ গোল করেছে। এর বিপরীতে গোলরক্ষক রুপনা চাকমার জালে গোল জড়িয়েছে মাত্র ১টি, তাও আজকের এই ফাইনালেই।
ওদিকে নেপালও অবশ্য বেশ আশা নিয়ে এসেছিল ফাইনালে। বাংলাদেশের মতো কাড়িকাড়ি গোল করেনি তারা, তবে বাংলাদেশের মতোই গোলমুখে আঁটসাঁট ছিল স্বাগতিক দলটি। ফাইনালের আগ পর্যন্ত ১১ গোল করার বিপরীতে গোল হজম করেনি একটিও। তবে ফাইনালে ৩ গোল হজম করাতেই শিরোপার স্বপ্ন মিশে গেল ধুলোয়। সে কারণেই আজ পদত্যাগ করলেন কুমার থাপা।
এনইউ