সাফে ১৯ বছরের আক্ষেপ ঘোচাল বাংলাদেশ
২০০৩ সালে ঢাকায় আমিনুল-আরিফ খান জয়রা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিয়েছিল। এরপর আর পুরুষ ফুটবলে বাংলাদেশ সাফে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
২০১০ সাল থেকে পুরুষ ফুটবলের পাশাপাশি নারী সাফও শুরু হয়। বাংলাদেশ বিগত পাঁচ নারী সাফেই অংশ নিয়েছে। পাঁচটির মধ্যে একটিতে ফাইনাল ও তিনটিতে সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। তবে শিরোপা অধরাই রয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। আজ সেই অধরা শিরোপা ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ।
সাবিনাদের এই ট্রফির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে শিরোপা বাংলাদেশে আসছে আবার ১৯ বছর পর। ২০০৩ সালের পরের সাফেই বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল। ভারতের বিপক্ষে হেরে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এর পরের সাফের মধ্যে শুধুমাত্র ২০০৯ সালেই বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছিল। বাকি সাফে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়।
বাংলাদেশের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র সাফে এই প্রথম শিরোপা জিতলেও জুনিয়র পর্যায়ে কৃষ্ণাদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে আরো আগেই। সাফ অ-১৫, ১৬ ও ১৮ তে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কৃষ্ণা, আঁখিরা জুনিয়র পর্যায়ে সেরা হলেও সিনিয়র পর্যায়ে এত দিন বাংলাদেশ ভারত ও নেপালের বিরুদ্ধে পেরে উঠতো না। সেই আক্ষেপও এবার ঘুচিয়েছে বাংলাদেশ, গ্রুপ পর্বেই হারিয়েছিল ভারতকে। এবার হলো নেপাল-বধও।
এবার সাফে অংশ নেয়ার আগে দেশ ছাড়ার মুহূর্তে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছিলেন, ‘আমাদের মেয়েরা এখন অনেক পরিপক্ব। আশা করি খেলায় এর ভিন্নতা দেখতে পাবেন।’
কোচ তার কথায় প্রমাণ রেখেছেন। ভারত ও নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ বল নিয়ন্ত্রণ, পাসিং, আক্রমণ সব কিছুতেই ছিল অগ্রগণ্য। ফলাফলও বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে। ছোঁয়া হয়ে গেছে সাফের শিরোপা।
এজেড/এনইউ