চমকে দিয়ে বিশ্বকাপ দলে শান্ত, নির্বাচকরা বলছেন ভিন্ন কথা
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যর দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ঘোষিত এ দলে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর নাম দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে। এই ব্যাটসম্যানকে দলে রাখার কারণ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার দাবি-সবার চাওয়াতেই নাকি শান্তকে রাখা হয়েছে বিশ্বকাপ দলে!
বুধবার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলার প্রেস কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। ঘোষিত দলে ওপেনার শান্তর নাম দেখে অবাকই হয়েছেন সবাই, তবে প্রধান নির্বাচক বললেন সবার সিদ্ধান্তেই দলে রাজশাহীর এই ক্রিকেটার।
এনিয়ে নান্নু বলেন, ‘শান্তকে নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা হয়েছে। অনেক অ্যানালাইসিস করা হয়েছে ব্যাকআপ একটা ওপেনার হিসেবে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে কেউ দ্বিমত করেনি। সেই জন্য শান্তকে যুক্ত করা হয়েছে।’
জাতীয় দলে এর আগে সুযোগ পেয়ে ভালো পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন শান্ত। তারপরও বিশ্বকাপের মত এমন বড় আসরে আবারো দলে সুযোগ শান্তর। ঠিক কোন পারফর্মমেন্সের কারণে শান্ত দলে সেটার ব্যাখা ও দিয়েছেন নান্নু।
প্রধান নির্বাচক বলছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ৯৫ ম্যাচ খেলে ২টি শতকের সঙ্গে ৬টি ফিফটি রয়েছে শান্তর। এই দুই শতক বিবেচনায় বিশ্বকাপের দলে ঠাঁই হয়েছে তার। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ফরম্যাটে তো আমরা সবাই স্ট্রাগল করছি। কিন্তু আপনি বিপিএলের রেকর্ডটা দেখেন শান্তর। আমাদের ডমেস্টিকে যে কয়জন ক্রিকেটার রয়েছে, সেখানে তার পারফরম্যান্স কিন্তু খারাপ না। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে এই ক্রিকেটারের। ডমেস্টিক রেকর্ড কিন্তু ওর খুব একটা খারাপ না। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকরা মিলে ওকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল হলেও জাতীয় দলে শান্তর পারফরম্যান্স সাদামাটা। টি-টোয়েন্টিতে ৯ ম্যাচে ১৮.৫০ গড়ে শান্তর রান ১৪৮, স্ট্রাইকরেট ১০৪.২২। সৌভাগ্যবান বলতেই হবে তাকে। না হলে কিছু না করেও কেন বিশ্বকাপ যাত্রায় দলের সঙ্গী হবেন তিনি!
নাজমুল হোসেন শান্তর বিশ্বকাপ দলে নাম আসার দিনে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাদ পড়লেও আবারো পারফর্ম করে দলে আসার সুযোগ রয়েছে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের, এমনটা জানিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
এসএইচ/এটি