ডমিঙ্গোর পদত্যাগের গুঞ্জন, কিছুই জানে না বিসিবি
সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর পদত্যাগের গুঞ্জন। টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব হারানোর পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের পদ থেকেই ডমিঙ্গো সরে দাঁড়িয়েছেন বলে খবর চাউর হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ নিয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা পোস্টকে বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘ডমিঙ্গো এখন আফ্রিকাতে অবস্থান করছে। সে চাকরি ছাড়লে আগে তো বোর্ডকে জানাতে হবে। চাকরি ছাড়ার বিষয় নিয়ে সে এখনো পর্যন্ত কোনো চিঠি বোর্ডকে দেয়নি।’
আরও পড়ুন >> টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ ডমিঙ্গো
এশিয়া কাপের আগে দলের কোচিং স্টাফে রদবদল করেছে বিসিবি। ওয়ানডে এবং টেস্টের দায়িত্ব ডমিঙ্গোকে বহাল রাখলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোচের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার স্থলে এখনো টি-টোয়েন্টির কোচ হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়নি বিসিবি। এশিয়া কাপে হেড কোচ ছাড়াই খেলবেন সাকিব-মুশফিকরা। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই টুর্নামেন্টে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিসিবির নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এই ফরম্যাটে হারের বৃত্তে আটকে বাংলাদেশ। কালেভদ্রে দুয়েকটি জয় আসলেও এই ফরম্যাটে ডমিঙ্গোর অধীনে কেবল বাংলাদেশের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হয়েছে।
আরও পড়ুন >> রাসেল ডমিঙ্গোই হেড কোচ, তবে...
আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই ফরম্যাটে দল গুছিয়ে আনতে সম্প্রতি বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার অংশ হিসেবে টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর টি-টোয়েন্টির কোচের দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছিলেন ডমিঙ্গো।
গেল ২২ আগস্ট বোর্ড সভাপতি মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি থেকে বিশ্রামে পাঠিয়ে দেন। বোর্ডের এমন সিদ্বান্ত সেদিন বেশ হাসিখুশি ভাবেই মেনে নিতে দেখা যায় ডমিঙ্গোকে। এরপর টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে নিজ দেশ আফ্রিকাতে ফিরে যান তিনি।
আরও পড়ুন >> ডমিঙ্গো আক্রমণাত্মক নন, হাথুরুসিংহের মানসিকতা চায় বাংলাদেশ
তবে খুশি থাকলেও হেড কোচের মনে কিছু একটা নিয়ে যে অস্বস্তিও ছিল এটা বোর্ড সেদিনই আঁচ করতে পেরেছিলেন বলে জানান বোর্ডের আরেক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘৪-৫ দিন আগেও ডমিঙ্গোর সাথে কথা হয়েছে, তখন এ নিয়ে তিনি কিছুই জানাননি, তবে সে চিন্তা করছিল এসব নিয়ে। আমার ধারণা কিছু একটা হয়তো হয়েছে যেটা পরে জানা যাবে। যদিও সে এখনো পর্যন্ত বিসিবিতে কোন অফিসিয়াল চিঠি পাঠায়নি এটা আমি মোটামুটি নিশ্চিত।’
তবে এটা অনেকটাই নিশ্চিত বিসিবির সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নিতে পারেননি ডমিঙ্গো, তাই সরে যাওয়াটাই ঠিক মনে করছেন তিনি!