রিশাদকে হঠাৎ উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুবাইয়ে
এশিয়া কাপ খেলতে মঙ্গলবার ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। যদিও সেই দলের সঙ্গে ছিলেন না কোন স্পেশালিষ্ট লেগ স্পিনার। দল দুবাই পৌঁছানোর একদিন পর আজ বুধবার নড়েচড়ে বসল টিম ম্যানেজম্যান্ট। হঠাৎ সিদ্ধান্ত-দলে যুক্ত হচ্ছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তবে তিনি দলের সদস্য হয়ে নয়, শুধু যাচ্ছেন নেট বোলার হিসেবে। দুবাই পৌঁছে তিনি সাকিব আল হাসান-এনামুল হক বিজয়দের নেটে বল করবেন।
দল দুবাই যাওয়ার পর হঠাৎ একজন লেগ স্পিনারকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? -এমন প্রশ্ন উঠছে। জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এনিয়ে জানালেন, ব্যাটারদের চাওয়াতেই বাংলাদেশ থেকে মরুর দেশে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রিশাদকে। ২০ বছর বয়সী রিশাদের এখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি।
ঢাকা পোস্টকে হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘দলের চাওয়াতেই রিশাদকে পাঠানো হচ্ছে। তবে সদস্য হিসেবে নয় শুধুমাত্র নেট বোলার হিসেবে। দল যতদিন মনে করবে নেটে রিশাদকে প্রয়োজন ততদিন সে থাকবে। আলাদা করে কতদিন থাকবে এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, শুধুমাত্র দলের চাওয়াতেই সে যাচ্ছে।’
নির্বাচক সুমন আরও বলেন, ‘দুবাইতে এই মুহুর্তে নেট বোলারে একটু সংকট রয়েছে। আর তাছাড়া সব দলেরই মোটামুটি ১-২ জন করে লেগ স্পিনার রয়েছে। সেসব কথা চিন্তা করেই রিশাদকে পাঠানো হচ্ছে।’
এশিয়া কাপে সব দলেই রয়েছে লেগ স্পিনার। প্রথম পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের রশিদ খান, মুজিব উর রহমান আর শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সামাল দিতে হবে। এ কারণেই প্রস্তুতিটা ভাল করতে নেওয়া হচ্ছে রিশাদকে।
এর আগে মঙ্গলবার দলের সব খেলোয়াড় কোচিং স্টাফরা দুবাই পৌঁছালেও, সেই বিমানে দুবাই যেতে পারেননি তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক বিজয়। তাদের ভিসা জটিলতা ছিল। তবে আজ বুধবার তাদের দুবাইয়ের বিমান ধরার কথা রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়েকদিনের ক্যাম্প করার কথা রয়েছে মুশফিক-রিয়াদদের। এরপর এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ১ সেপ্টেম্বর খেলবে লঙ্কানদের বিপক্ষে।