এমবাপেকে কেউ বলে দাও, তার বয়সে মেসির ৪টা ব্যালন ডি’অর ছিল
কিলিয়ান এমবাপে বর্তমানে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন। তবে শেষ কিছু দিনে তিনি নিয়মিতই তোপের মুখে পড়েছেন, কখনো বেফাঁস কথা বলে, কখনো বা আবার তার কাজের কারণে। নেইমার আর লিওনেল মেসির মতো দুই তারকা আছেন তার দলে। তিনি বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন তাদের সঙ্গেও। সে কারণেই এবার দুনিয়াজোড়া সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে তাকে।
এমবাপে পিএসজির সবশেষ ম্যাচে নেইমারের সঙ্গে মাঠেই পেনাল্টি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাও আবার প্রথম পেনাল্টিটা নিজে মিস করার পর।
আরও পড়ুন>> নেইমার-এমবাপের আগুনে পানি ঢালছেন রামোস
এর কিছু পরে তিনি মেসিকে ধাক্কা দিয়ে বসেন। এমন আচরণ তিনি করেন মেসি তাকে পাস না দেওয়ার ফলে। এমন ঘটনার পর মেসি খানিকটা হতবাকই হয়ে পড়েন। এই ভিডিও এখন ছড়িয়ে পড়েছে দুনিয়ার কোণায় কোণায়।
এখানেই শেষ নয়, গুঞ্জন আছে ম্যাচের পর ড্রেসিং রুমে নেইমারের সঙ্গে আবারও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ খবরও দাবানলের মতো ছড়িয়েছে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমার একজোট, পিএসজিতে কোণঠাসা এমবাপে
তবে তিনটি ঘটনায় এমবাপের আচরণ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, তা বলাই বাহুল্য। সমর্থকদের গঞ্জনা শুনতে হচ্ছে, এবার তাতে যোগ দিয়েছেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড ওয়েইন রুনিও।
বর্তমানে মেজর লিগ সকারে ডিসি ইউনাইটেডের কোচিং করানো রুনি রীতিমতো ধুয়েই দিয়েছেন ফরাসি এই তারকাকে। তার মতে, এমন অহংকার আর কখনোই দেখেননি তিনি।
আরও পড়ুন>> মেসির বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা বাড়ল আরও
সম্প্রতি দেপার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুনি বলেন, ‘একটা ২৩ বছরের খেলোয়াড় মেসিকে ধাক্কা দিচ্ছে, এর চেয়ে বড় অহংকার আমি কখনো দেখিনি।’
এরপর তিনি দুজনের পার্থক্যটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। বলেন, ‘কেউ এমবাপেকে এটা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে মেসির বয়স যখন ২৩ ছিল, তখনই সে ৪টা ব্যালন ডি’অর জিতে গিয়েছিল।’
আরও পড়ুন>> ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচাতে মেসির কাছে আকুতি সৌদি পরিবারের
রুনির এই কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ঝড়ই বইয়ে দিয়েছে। বেশিরভাগ ভক্তসমর্থকেরই মত, এমবাপের আচরণটা মেসির জন্য বেশ অপমানকরই ছিল।
এনইউ