৮০ রানে অলআউট হয়ে হারল বাংলাদেশ
দুটি চার দিনের ম্যাচ আর তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে বর্তমানে উইন্ডিজ সফর করছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। যেখানে চারদিনের দুটি ম্যাচই নিষ্প্রাণ ড্রয়ে শেষ হয়।
সাদা পোশাকের ফরম্যাটের সিরিজ ভাগাভাগির পর এবার উইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটের লড়াইয়ে নেমেছে সফরকারীরা। তবে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মুখ থুবড়ে পড়া ম্যাচে স্বাগতিকরা জয় পেয়েছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৮০ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৮১ রানের সহজ লক্ষ্য টপকাতে নেমে ১৬০ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জেতে উইন্ডিজ।
বাংলাদেশে ‘এ’ দলের হয়ে ওপেন করেন নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরেছেন কোনো রান না করে ফেরেন নাঈম। অ্যান্ডারসন ফিলিপের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল কাট করতে চেয়ে ক্যাচ দেন দ্বিতীয় স্লিপে। তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসানের সঙ্গেও সৌম্যের জুটি টেকেনি বেশিক্ষণ। সাইফ ৫ বলে ৬ রানে শেরমন লুইসের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
১৭ রানে ২ উইকেট হারানো সফরকারীদের পথ দেখাতে পারতেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু খানিক পরেই ফেরেন সৌম্য। অ্যান্ডারসন ফিলিপকে পুল খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ত্যাগনারাইন চন্দরপলকে। ২০ বলে ৩ চারে ১৫ রানেই তাকে থামতে হয়।
সৌম্য যখন আউট হন, তখন ৩ উইকেটে ৩৫ রান। এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে মিঠুন ২০ বলে ১২, মাহমুদুল হাসান জয় ৪ রানে ফেরেন। সুবিধা করতে পারেননি দীর্ঘ ৩ বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাব্বির রহমান। যেখানে টাইগারদের মূল জার্সি গায়ে চাপানোর আগে ‘এ’ দলের হয়ে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ, সেখানে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, নাঈম হাসানও রানের খাতা খোলেননি।
৫০ রানেই ৮ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেষদিকে জাকের আলি অনিকের ৪১ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫ রানে ভর করে ৮০ রানে থামে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস। ৭ ওভারে ২৫ রান খরচায় ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট জাস্টিন গ্রিভসের।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছিল ক্যারিবীয়রা। উদ্বোধনী জুটিতে ত্যাগনারাইন চন্দরপল ও জশুয়া ডি সিলভা তুলে ফেলে ৩৫ রান। বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয়কে ১৮ বলে ১৭ রানে জশুয়াকে ফিরতি ক্যাচ দিলে ভাঙে জুটি। এরপর শুরু হয় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো।
চন্দরপল থামেন ৩৯ বলে ৩ চারে ২৩ রান করে। মাঝে অ্যালিক আথানাজে ১৯ রান করে দলকে জয়ের পথে রাখেন। তবে তাকে ফিরতে হয় সৌম্য সরকারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর অবশ্য শঙ্কা দূরে ঠেলে জয় নিশ্চিত করে বল হাতে আগুন ঝরানো জাস্টিন গ্রিভস ১১ বলে ৬ ও ব্রায়ান চার্লসের ১৯ বলে ৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ৪ উইকেটের ৪ পাইয়ে মাঠ ছাড়েন।
টিআইএস