‘বাংলাদেশে অনেক মাতামাতি, সামলাতে না পারলে খেলতে পারব না’
বাংলাদেশ জাতীয় দলে ২০১৪ সালে অভিষেকের পর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। দীর্ঘদিন পর আবার ফিরেছিলেন বটে, তবে সুযোগ পেয়েও হারানো সিংহাসন ধরে রাখতে পারেননি। বাংলাদেশ টাইগার্সের পর এবার মিঠুনের জায়গা হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। আসন্ন উইন্ডিজ সফরে দুই ফরম্যাটের দলকেই নেতৃত্ব মিঠুন। আগামীকাল শুক্রবার দেশ ছাড়ার আগে আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদ সম্মলনে কথা বলেছেন তিনি।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা আর তোপের মুখে পড়তে হয়ে মিঠুনকে। ‘এ’ দলে সুযোগ পেয়ে তেমনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হয়। এই চাপ সামলাতে না পারলে ক্রিকেট খেলতে পারতেন না।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিঠুন বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হয়। এগুলো সামলানোর মতো চাপ না থাকলে আমি ক্রিকেট খেলতে পারব না। সেটা সামলানোর মতো মানসিক দৃঢ়তা থাকতে হবে। এজন্য আমি যথেষ্ট সময় পেয়েছি। সময় পেয়ে ক্রিকেটে ফিরেছি, ক্রিকেট খেলছি। কোনদিকে কী হচ্ছে তা আমার ভাববার ব্যাপার না, ভাবিও না।’
আগামী মাসে দুটো চার দিনের ম্যাচ আর তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে কালই উইন্ডিজ যাত্রা করবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রায় এক মাসের এই সফরে আগামী ৪ আগস্ট নেমে পড়তে হবে মাঠের লড়াইয়ে। সেন্ট লুসিয়ায় সেদিনই শুরু হবে প্রথম চারদিনের ম্যাচে। সফরের সবকটি ম্যাচের ভেন্যুই সেই সেন্ট লুসিয়া। ১০ আগস্ট থেকে হবে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু সাদা বলের লড়াই। এরপর ১৮ ও ২০ আগস্ট বাকি দুটি এক দিনের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ কতটা থাকবে সেটা জানাতে গিয়ে মিঠুন বললেন, ‘আপনি যদি বলেন চ্যালেঞ্জ, হ্যাঁ অবশ্যই এটা একটা চ্যালেঞ্জ। তবে চাপ মনে করি না। আর আমরা এ দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছি। এটা জাতীয় দল না। হয়ত এখানে কেউ ভালো করলে দলে প্রয়োজন হলে তাকে দলে নেওয়া হবে। তবে আমরা এ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি।’
সঙ্গে যোগ করেন মিঠুন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে এ দলে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয়। আমরাও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে আগেও খেলেছি। ভবিষ্যতে জাতীয় দলে যারা খেলবে ওদের এ দলে তারাই খেলে। এ দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেক শক্তিশালী। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হবে। ওখানে ভালো করতে পারলে আন্তর্জাতিক মানের না হলেও কাছাকাছি ফ্লেভার পাওয়া যাবে।’
টিআইএস/এটি