হেরাথ থাকলে বাড়তি সুবিধা পান মেহেদীরা
ক্রিকেটার হিসেবে সফলতা কুড়িয়ে কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। পূর্ণ মেয়াদে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদীদের কোচ হলেও ছুটিতে থাকায় দস্য সমাপ্ত উইন্ডিজ সফরে যাননি তিনি। তবে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে আবার দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন হেরাথ।
হেরাথ দলের সঙ্গে থাকলে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পান বলে জানালেন শেখ মেহেদী। রাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আজ মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার।
মেহেদী বলছিলেন, ‘বোলিং কোচ থাকলে বোলাররা অনেক সহায়তা পায়। হেরাথ থাকলে বাড়তি সুবিধা, ম্যাচের ভেতর অনেক কিছু চেঞ্জ করা যায়। জিম্বাবুয়েতে অনেক ভালো উইকেট। ভালো উইকেতেই ভালো করতে হবে। তা না হলে ভালো পর্যায়ের ক্রিকেটে টিকতেক পারবেন না। এটা স্পিনারদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আমাদেরও সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
জিম্বাবুয়ে সফরে সমান ৩টি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। কুড়ি ওভারের ফরম্যাট দিয়ে মাঠের লড়াই শুরু হবে। যেখানে প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে আগামী ৩০ জুলাই। এই ফরম্যাটে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ উঠেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী। অফ স্পিনার হলেও নিয়মিত পাওয়ার-প্লেতে বল করেন তিনি। তবে কোনো চাপ অনুভব করেন না বলেই জানালেন।
মেহেদী বলেন, ‘কোনো চাপ অনুভব করলে তো পাওয়ার-প্লেতে বল করতাম না। আমি নিয়মিত পাওয়ার-প্লেতে বল করি। চাপ থাকলে পাওয়ার-প্লেতে বল করা সোজা না। আমি উপভোগ করি। ভালোর কোনো শেষ নেই, আরও যত ভালো করা যায় জায়গা ধরে রাখার জন্য।’
বল হাতে বেশিরভাগ সময় ইনিংস শুরু করলেও তার শক্তির জায়গা মূলত ব্যাটিং। কিন্তু জাতীয় দলে ব্যাট হাতে নামার খুব বেশি সুযোগ মেলে না। ৭-৮ নম্বরেই দিকেই তাকে পাঠানো হয়, যেখানে সেট হওয়া বা খুব বেশি বল খেলার সুযোগ থাকে না।
মেহেদী বললেন, ‘আসলে ও সময় এমন একটা পরিস্থিতি থাকে, আমি চাইলেই প্রথম বলে ছক্কা মারতে পারব না। একটু ক্যালকুলেটিভ খেলতে হবে। ছক্কা মারতে না পারলে সিঙ্গেল, ডাবল, চার এগুলো দিয়ে পুষিয়ে দিতে হবে। তবে মাঝেমাঝে এমন পরিস্থিতিও থাকে ২ বলে ১০ বা ১২ রান লাগে। তখনকার হিসেবনিকেশ আলাদা। তখন ছক্কার দিকেই যাবেন। নিজের সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু আছে ততটুকুই চেষ্টা করব।’
টিআইএস/এটি