নয়্যারের ‘কিপটেমি’তে ক্ষুব্ধ ট্যাক্সিচালক
মূল্যবান ওয়ালেট হারিয়ে ফেলেছিলেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। সেটা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মিউনিখের এক ট্যাক্সি ড্রাইভার। যখন পেলেন, তখন তিনি নয়্যারের অবস্থান থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে। সেই দূরত্ব পেরিয়ে শেষে তিনি ওয়ালেটটা পৌঁছে দেন জার্মান অধিনায়ককে। এরপর প্রতিদান হিসেবে যা পেলেন, তাতে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সেই ড্রাইভার।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সেই ড্রাইভারের নাম ছিল হাজির। সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি নয়্যার ও তার এক বন্ধুকে মিউনিখের একটি জায়গা থেকে পাশের এক জেলায় নামিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। নয়্যারকে দেখেই হাজির চিনে ফেলেছিলেন। তবে জার্মান গোলরক্ষককে তিনি কিছুই বলেননি।
আরও পড়ুন >> আইডি কার্ড দেখতে চাওয়ায় টোল বুথের স্টাফকে চড় মারলেন তিনি!
নয়্যার ও তার বন্ধুকে নামিয়ে এসে দিনের কাজটাই করে যাচ্ছিলেন। তবে রাতে গাড়ি যখন পরিষ্কার করছেন, তখন আবিষ্কার করলেন নয়্যারের ওয়ালেট। সেখানে নয়্যারের নাম আর ঠিকানা দেখে চিনে ফেলেছিলেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ‘সম্ভবত’ সেখানে ৮০০ ইউরোর মতো টাকা ছিল। সঙ্গে ছিল প্ল্যাটিনাম এক ভিসা কার্ড আর একটা কালো মাস্টারকার্ড। তিনি তা ফেরত দেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন >> লেভান্ডভস্কিকে বেঞ্চে রেখেই ৬ গোলে জিতল বার্সা
ওয়ালেটে থাকা ঠিকানায় তিনি তা গিয়ে দিয়ে আসতে সক্ষম হন। খোদ নয়্যার অবশ্য তা গ্রহণ করেননি। করেছেন তার ম্যানেজার। সেটা যখন তিনি ফেরত দিচ্ছেন, সঙ্গে নিজের যোগাযোগের ঠিকানাও দিয়ে এসেছিলেন হাজির নামক সেই ড্রাইভার।
দুই সপ্তাহ পর যখন তিনি তার প্রাপ্য উপহারটা পেলেন। তখন রীতিমতো ক্ষোভেই ফেটে পড়েন তিনি। তিনি পেয়েছেন একটা জার্সি।
অন্তত ১২০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে ওয়ালেট ফেরত দিয়ে একটা জার্সি প্রতিদান হিসেবে পাওয়াটা মোটেও যথার্থ মনে হয়নি সেই ড্রাইভারের। তিনি জানান, সেই সফরে কম করে হলেও ৪০০ ইউরো খরচ হয়েছিল তার।
আরও পড়ুন>> ৭১ মিনিট খেলেই গার্দিওলাকে খুশি করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার
স্কাই জার্মানিকে তিনি বলেন, ‘এই ফাইন্ডার্স ফি টা একটা উপহাস। আমার চারটা বাচ্চা আছে, এই জার্সি দিয়ে আমি কী করব?’
জার্মান আইন অনুসারে, ৫০০ ইউরোর সমপরিমাণ কিছু পেয়ে তার মালিককে ফেরত দিলে যিনি ফেরত দিয়েছেন, তিনি পাবেন ৫ শতাংশ অর্থ। আর ৫০০ ইউরোর বেশি মূল্য হলে এর বাইরের প্রতি ১০০ ইউরোয় ৩ শতাংশ করে অর্থ পাবেন ফেরতদাতা।
আরও পড়ুন>> না ফেরার দেশে জার্মান কিংবদন্তি উয়ে সিলার
হিসেব অনুসারে হাজির নামক সেই চালকের পাওনা ছিল ৩৪ ইউরো। তবে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সির দাম এর চেয়েও কম। সে কারণেই রেগেমেগে রীতিমতো আগুন হয়ে গেছেন সেই চালক।
এই ঘটনা জার্মান সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে গতকাল। এরপর অবশ্য জার্মান গোলরক্ষক কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।
এনইউ