‘সব আবাহনীর পক্ষে ছিল’
দ্বিতীয় গোল হওয়ার কিছুক্ষণ পরপরই ‘চ্যাম্পিয়ন’ জার্সি বিতরণ শুরু। ম্যাচ শেষের বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে মাঠের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা সমর্থকদের। সাইফের খেলোয়াড়রা মাঠ ত্যাগ করছিলেন। সেই সময় সমর্থকরা প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের সামনে চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন বলছিলেন। নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ। মুহূর্তের মধ্যে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো প্রবেশ সবার।
সমর্থকরা প্রবেশ করে কোচ, খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছবি, সেলফি নিলেন। বিদেশি ফুটবলার রবসন, খালিদ শাফির সঙ্গে সমর্থকদের ভিড়টা বেশি। দেশি ফুটবলাররাও ভিড়ের মধ্যে শিরোপা উদযাপন করেন। আনুষ্ঠানিক কোনো ছবি তোলা হয়নি। কিংসের পরবর্তী ম্যাচ আবাহনীর বিপক্ষে কিংস অ্যারেনায় সেই ম্যাচে হবে বড় উদযাপন।
লিগের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে বসুন্ধরা চ্যাম্পিয়ন হলো। শেষ দুই ম্যাচ কিংস হারলে এবং আবাহনী জিতলেও কোনো সমস্যা নেই। টানা তিনবার লিগ শিরোপা জিতে প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর দিকে খোঁচা দিয়েছেন কিংসের স্পেনিশ কোচ অস্কার ব্রুজন, ‘সূচি, মাঠ সব কিছুই আবাহনীর পক্ষে ছিল’।
বসুন্ধরা কিংস এবার ফেডারেশন কাপ খেলেনি কমলাপুরের ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে। আবাহনী সেই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলেও অনেক ফুটবলার ইনজুরিতে পড়েছেন। যার প্রভাব লিগে পড়েছে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে সেই টুর্নামেন্ট না খেলায় বসুন্ধরার ফুটবলাররা কিছুটা ফিট ছিলেন। এরপরও এই শিরোপা জয় অনেক কঠিন ছিল জানালেন কোচ, ‘আমরা প্রথম লেগে ইনজুরির জন্য বিদেশি কম নিয়ে খেলেছি। আরো অনেক সমস্যা ছিল। সেসব কাটিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
স্বাধীনতা কাপে ব্যথা পেয়ে পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। খেলতে না পারলেও দলের সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচে মাঠে গিয়েছেন। আজও গ্যালারি থেকে দলকে উৎসাহ দিয়েছেন। হ্যাটট্রিক শিরোপার মুহূর্তে মাঠে সশরীরে না থাকতে পারা তাকে খানিকটা পীড়া দিলেও দল সাফল্য পাওয়ায় তিনি খুশি, ‘এ রকম সময় সবার ইচ্ছে থাকে মাঠে থাকতে। ইনজুরির জন্য পারিনি। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এজন্য আমি অনেক খুশি।’
আজকের ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়রা মেজাজ হারিয়েছেন। কিংসের সিনিয়র ফুটবলার বিশ্বনাথ ঘোষ এর কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘আসলে আমরা এই ম্যাচ জিততে মরিয়া ছিলাম। সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলাম। এই ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত করব। এজন্য বাড়তি একটু মরিয়া ভাব ছিল।’
কিংস দশ জন নিয়ে খেলেছে ৫৫ মিনিটের বেশি সময়। দশ জন নিয়েও জয়ের ব্যাপারে আত্নবিশ্বাসী ছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজন, ‘আমরা ১ গোলে এগিয়েছিলাম। আত্মবিশ্বাসী ছিলাম জিততে পারব। কৌশলে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল।’
এজেড/