না বলে টয়লেটে যাওয়ার ‘অপরাধে’ চাকরি গেল কর্মীর
ধরুন আপনি অফিস করছেন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসকে না বলেই চলে গেলেন টয়লেটে, সেটা ‘অপরাধ’ হিসেবে দেখা হলো। ফিরে এসে দেখলেন, চাকরি চলে গেছে আপনার! এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না। তবে এমন অদ্ভুত এক ঘটনাই ঘটেছে চলমান উইম্বলডনে। ইংলিশ সংবাদ মাধ্যমের খবর, না বলে টয়লেটে যাওয়ার অজুহাতে অস্থায়ী অনেক কর্মীকে ছেঁটে দিয়েছে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ।
দ্য গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, মূলত কর্মী সংখ্যা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন অযুহাতে হাউসকিপিং আর হসপিটালিটি বিভাগ থেকে কর্মী ছাটাই করছে কর্তৃপক্ষ। টুর্নামেন্টটির অস্থায়ী তিন কর্মীর দাবি, কাজ শেষ করে পান করছিলেন, সে কারণেও চাকরি গেছে অনেক জনের।
এখানেই শেষ নয়। উইম্বলডনের ১৯ বছর বয়সী এক খণ্ডকালীন কর্মী গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, মধ্যাহ্ন বিরতিতে তার এক বন্ধু সেন্টার কোর্টের পাশে বসে স্ট্রবেরি খাচ্ছিলেন, এরপরই মেইল পান, তাকে আর কোনো শিফটে কাজ দেওয়া হবে না। এরপর থেকে যাদের চাকরি এখনো আছে, তাদের মাঝেও বিরাজ করছে আতঙ্ক।
আরেক অস্থায়ী কর্মী বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটাই তাদের অব্যবস্থাপনার দিকটা তুলে ধরে। তারা যেখান থেকে পারছে, লোক ছাটাই করছে। তারা মূলত বেশি লোক নিয়ে ফেলেছে, আর বলছে এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ দর্শক আসছে না। আর তাই তারা তাদের কাজটা করছে, লোক ছাটাই করছে।’
অল ইংল্যান্ড লন টেনিস অ্যান্ড ক্রকে ক্লাব যে লোক ছাটাই করতে চাইছে, সেটা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে এক কর্মীকে দেওয়া মেইলেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। যদিও অল ইংল্যান্ড লন টেনিস অ্যান্ড ক্রকে ক্লাব জানিয়েছে প্রতিটি কর্মীই তাদের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এভাবে কর্মী ছাটাইয়ের মূল কারণ হিসেবে গার্ডিয়ান দায় দেখছে দর্শক স্বল্পতার। উইম্বলডন দেখতে চলতি আসরে দর্শক আসছেন গড়পড়তার চেয়ে অনেক কম। স্বাভাবিকভাবে ৪২০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা থাকলেও সবশেষ বুধ ও বৃহস্পতিবার সেখানে দর্শক ছিল মাত্র ৩৮৫০০ জন। টিকিট বিক্রি হচ্ছে না, এ কারণে কোষাগারেও পড়েছে টান। যারই ফলে অদ্ভুত পন্থায় কর্মী ছাটাইয়ের পথে হাঁটছে কর্তৃপক্ষ।
এনইউ/এটি