বাসে ওঠা নিয়ে হাতাহাতি আফ্রিদি-সালমান বাটের
২০১১ সালে হুট করেই অ্যাবোটাবাদ চলে এসেছিল বিশ্বজুড়ে আলোচনার শীর্ষে। ওসামা বিন লাদেনের আস্তানা যে ছিল সেখানেই। তার মৃত্যুও যে হয়েছিল সেখানেই। সেই অ্যাবোটাবাদ আবারও আলোচনায়। এবার অবশ্য কারণটা ভিন্ন। সাবেক পাকিস্তানি কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদি ও সালমান বাটের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেখানেই বাসে ওঠার মতো ছোট বিষয় নিয়ে যে রীতিমতো হাতাহাতিই হয়ে গিয়েছিল আফ্রিদি আর সালমান বাটের!
সাবেক পাক বোলার শোয়েব আখতার জানিয়েছিলেন বিষয়টি। তার আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ ২০০৭ সালের এক ঘটনার কথা লিখেছেন। তিনি সেই ঘটনায় অবশ্য সমর্থন দিয়েছেন আফ্রিদিকেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেও সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন শোয়েব। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
২০০৭ সালে পাক ক্রিকেট দলের ক্যাম্প করা হয়েছিল অ্যাবোটাবাদে। সেখানেই ঘটে ঘটনাটি। এক দিন অনুশীলন থেকে হোটেলে ফেরার সময় বাসেই আফ্রিদির সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় সালমান বাটের। ঘটনায় আফ্রিদির উপর রেগে দলের ম্যানেজার তালাত আলি আফ্রিদিকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন।
সেই ঘটনা আবারও আলোচনায় এসেছে সালমান বাটের মাধ্যমে। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক নিজের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘সব দলেই এরকম কিছু না কিছু ঘটে। আফ্রিদি আমার সিনিয়র ছিল। বন্ধু নয়। আমার সঙ্গে ভালই ব্যবহার করত। আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হত। অনেক সময় দু’জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেগুলো প্রকাশ্যে না আসাই ভাল।’
এদিকে শোয়েব বলছেন, ‘অনুশীলন থেকে ফেরার সময় বাসে আমার পাশে বসেছিল বাট। আফ্রিদি ওকে ওখান থেকে সরে বসতে বলে। তা নিয়েই দু’জনের তর্ক শুরু হয়। তাতে তালাত মেজাজ হারিয়ে আফ্রিদিকে বলেছিলেন, কেন বাটকে সরে বসতে হবে?’ এরপর আফ্রিদি ম্যানেজারের সঙ্গেও তর্ক জুড়ে দেয়। এরপর রাতে শোয়েব মালিকের থেকে শুনেছি, সেই ঘটনার জন্য আফ্রিদিকে বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তালাত এবং পিসিবি।’
শোয়েবের কথা, ‘আফ্রিদি ক্রিকেটজীবনে খারাপ ব্যবহার অনেক বারই পেয়েছেন। অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু, সে সব নিয়ে কখনও তেমন কিছুই বলেননি আফ্রিদি।’
এনইউ/এটি