সিরি’আর দ্রুততম গোলের রেকর্ড এসি মিলানের

সাসুওলো-এসি মিলান ম্যাচের বয়স তখন মোটে ছয় সেকেন্ড। সাইডবেঞ্চের সদস্যরা তো বটেই, মাঠের খেলোয়াড়রাই তখনো ঠিকঠাক ধাতস্থ হতে পারেননি। প্রতিপক্ষের এই অপ্রস্তুত অবস্থার সুযোগ নিয়েই সিরি’আ ইতিহাসের দ্রুততম গোলের কীর্তিটা গড়ে বসলো এসি মিলান। রেকর্ডটা গিয়েছে ২১ বছর বয়সী পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড রাফায়েল লেয়াওর দখলে। এরপর ২-১ গোলে ম্যাচটা জিতে লিগের শীর্ষস্থানও ধরে রেখেছে মিলান।
বিজ্ঞাপন
রোববার রাতে ম্যাচের একেবারে শুরুর মূহুর্তেই পাঁচ মিলান ফুটবলার বল এগোতে থাকেন প্রতিপক্ষ গোলের দিকে। এমন কিছুর জন্যে নিশ্চিতভাবেই প্রস্তুতি ছিলো না স্বাগতিক সাসুওলোর। বাঁ প্রান্তে থাকা লেয়াও পাসটা পেলেন হাকান চালানোগ্লুর কাছ থেকে। সঙ্গে সঙ্গে দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে করেন গোলটা। তাতে ভেঙে যায় ১৯ বছরের পুরনো দ্রুততম গোলের রেকর্ডটা। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে পিয়াচেনজার পাওলো পোজ্জি মাত্র আট সেকেন্ডে গোল করে গড়েছিলেন এ কীর্তি।
এরপর বেলজিয়ান মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস সেলমেকার্সের গোলে বিরতির একটু আগে ব্যবধান বাড়ায় মিলান। অন্তিম সময়ে ডমেনিকো বেরারদির গোলে ব্যবধান কমালেও সমতা আর ফেরাতে পারেনি সাসুওলো। ফলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিলান। ১৩ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আছে লিগের শীর্ষেও।
দিনের অন্য ম্যাচে আচরাফ হাকিমি ও রোমেলু লুকাকুর গোলে স্পেজিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে ধরে রেখেছে সিরি’আর দ্বিতীয় স্থানও।
বিজ্ঞাপন
মিলানের পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড লেয়াওর নামডাক অবশ্য বেশ আগ থেকেই। স্পোর্টিং লিসবনে খেলার সময়েই তিনি ‘নতুন এমবাপে’ নামে খ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন। তবে স্পোর্টিংয়ে তার পরিণতিটা এরপর ভালো হয়নি মোটেও। দলের অনুশীলন মাঠে খেলোয়াড় ও স্টাফদের ওপর অতর্কিত আক্রমণের পর তিনি নিজেই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন।
এরপর ফরাসি লিগওয়ানে পাঁচ বছরের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। প্রথম মৌসুমের শুরুতে একটু ম্লান থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধেই স্বরূপে ফেরেন, করেন আট গোল। তাতেই নজর কাড়েন মিলান কর্তৃপক্ষের। গেলো দলবদলে মিলান তাকে দলে টানে ৩০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে।
বিজ্ঞাপন
চলতি মৌসুমেও চলছে তার জয়যাত্রা। ইতোমধ্যেই রোসোনেরিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতায় করে ফেলেছেন ১০ গোল। যদিও এখনো পড়ে আছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ছায়ায়। ১১ গোল করে ৩৯ বছর বয়সেও মিলানের তারকা যে চিরতরুণ সুইডিশ স্ট্রাইকারই!
এনইউ