আইপিএল স্বত্ব বেচে ৫০ হাজার কোটি আয়, তবুও অভাব কাটছে না ভারতের
এই তো কয়েক দিন আগে আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আয় করেছে ৫০ হাজার কোটি টাকারও কিছু বেশি অর্থ। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নাকি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) চালু করার জন্য টাকা নেই! রঞ্জিতে কেন ডিআরএস কেন নেই, সম্প্রতি এমন প্রশ্ন উঠলে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এমন অজুহাতই দাঁড় করিয়েছে।
রঞ্জি ট্রফি নকআউট পর্বে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনা। সেমিফাইনালে বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশের ম্যাচে একাধিক ভুল ধরা পড়েছে। ফাইনালের প্রথম দিনেও বিতর্ক হয়েছে। যে ম্যাচগুলো টিভিতে দেখা যায়নি, সেগুলোতেই অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
তবে বিসিসিআই এ সব অভিযোগে কান দিতে বয়েই গেছে। সংস্থাটির এক কর্তা বলেছেন, ‘দেশের আম্পায়ারদের উপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। ডিআরএস ব্যবহার করতে গেলে অনেক খরচ। ফাইনালে ডিআরএস না থাকলে কী আসে যায়। মাঠের আম্পায়ারদের উপর ভরসা করতে হবে। ভারতের দুই সেরা আম্পায়ার (কেএন অনন্তপদ্মনাভন এবং বীরেন্দ্র শর্মা) রঞ্জির ফাইনাল ম্যাচের দায়িত্বে। ফাইনালে যদি ডিআরএস চালু করতে হয় তা হলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও চালু করা উচিত।”
রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে শতরান করা সরফরাজ খান প্রথম দিনেই ফিরতে পারতেন গৌরব যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। তবে ডিআরএস না থাকায় তেমনটা হয়নি।
অবশ্য রঞ্জি ট্রফিতে যে কখনো ডিআরএস ব্যবহার হয়নি এমন নয়। ২০১৯-২০ সেমিফাইনালে সীমিত মাত্রায় ডিআরএস ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে তখন আবার হক-আই এবং আল্ট্রাএজ ছিল অনুপস্থিত। ফলে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচে সৌরাষ্ট্র ব্যাটার চেতেশ্বর পুজারা দু’বার কট বিহাইন্ড হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান। কর্নাটক তকঝন প্রকাশ্যে অভিযোগও করেছিল যে, আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্যেই তারা হেরেছে।
এইচএমএ