বাংলা সংস্কৃতিতে বিদেশি কোচরা
বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির বাৎসরিক ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠান দিনকে দিন আকর্ষণীয় হচ্ছে। কলেবর, নতুনত্বে একটি আসর আগের আসরকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে মজার অংশ ছিল বাংলাদেশে কোচিং করানো বিদেশি কোচদের বাঙালি পোশাকে মঞ্চ মাতানো।
বাংলাদেশের আরচ্যারিকে অলিম্পিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার রুপকার জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক। তিনি বাংলাদেশে কোচিং করাচ্ছেন বছর পাঁচেক। বাংলা ও বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কৃতি যথেষ্ট রপ্ত করেছেন। আজ লুঙ্গি, সাদা গেঞ্জি, লাল গামছা ও মাথায় টুপি পরে কয়েক মিনিটের জন্য কৃষকের চরিত্র নিলেন।
দুই মৌসুম ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন মালয়েশিয়ান কোচ রাজা ইসা। তিনি বংশীবাদক সেজেছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তাদের সঙ্গে ছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানী। যিনি বাংলাদেশ জাতীয় দল ও আবাহনীতে বছর চারেক কোচিং করিয়ে এক যুগ পর আবার বাংলাদেশে কোচিং করাতে এসেছেন সাইফ স্পোর্টিংকে। তিনি গ্রামীণ চৌকিদারের ভূমিকায় অংশ নিয়েছিলেন।
ক্রীড়া লেখক সমিতির অভিনব এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিন বিদেশি কোচই, ‘তাদের এই উদ্যোগটি অত্যন্ত অসাধারণ। আমরাও দারুণ আনন্দিত বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের মিলনমেলায় বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পেরে। প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে এটা গ্রহণ করেছি।’ সতীর্থ কোচদের এ রকম অংশগ্রহণ দেখে বেশ খুশি হয়েছেন বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার পাওয়া স্প্যানিশ অস্কার ব্রুজনও।
বিদেশি কোচরা যেমন বাংলা পোশাকে সেজেছিলেন, তেমনি বাংলাদেশের কোচরাও কম যাননি। সাকিব-মুশফিকদের গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম গান গেয়েছেন। তার গান অনুষ্ঠান স্থলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটুও গান পরিবেশন করেছেন।
এজেড/এইচএমএ