বিশেষ সম্মাননা আরও বিশেষ করলেন গাফফার
বাদল রায় ও আব্দুল গাফফার ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একই ক্লাবে খেলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও রাজনীতিও একসঙ্গে। প্রিয় বন্ধু বাদল রায় পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন বছর দেড়েক আগে। বাদল ছাড়াও গাফফারের আরেক সতীর্থ গোলাম রব্বানী হেলালও দুনিয়া ছেড়েছেন দুই বছর আগে। তিন জনের মধ্যে গাফফারই একমাত্র বেঁচে আছেন।
সেই গাফফার আজ তার এক বিশেষ স্বীকৃতি প্রয়াত দুই বন্ধুকে উৎসর্গ করলেন, ‘বাদল আমার জীবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ১৯৭৭ সাল থেকে একসঙ্গে খেলা শুরু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা, ক্রীড়া সংগঠক ক্যারিয়ার ও রাজনৈতিক জীবনে এক সঙ্গে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। রব্বানী হেলালও ছিল অকৃত্রিম বন্ধু। সেও ক্রীড়াঙ্গনের অনেক মানুষের পাশে ছিল। দুই প্রয়াত বন্ধুকে আমার বিশেষ সম্মাননা উৎসর্গ করছি।’
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন এক নির্ভরতার প্রতীক হয়েছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার আব্দুল গাফফার। ক্রীড়াঙ্গনে যখনই যে অসুস্থ,বিপদে পড়েছেন তখনই পাশে দাড়ান তিনি। প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে নানা সাহায্য এনে দেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেককে। গত কয়েক বছর যাবৎ তিনি নিঃস্বার্থভাবে এই কাজ করছেন। এর স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি তাকে বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছে।
আজ (শুক্রবার) মঞ্চে গাফফার পুরস্কার গ্রহণের পরপরই এই সম্মাননা স্মারক ও ট্রফি দুই প্রয়াত বন্ধুকে উৎসর্গের ঘোষণা দিয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে অনেকে অনেক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। গাফফারের পুরস্কারটি ছিল বিশেষ ক্যাটাগরি। বিশেষ ক্যাটাগরির পুরস্কার পেয়েও গাফফার বিশেষ কাজ করলেন। যা করেনি কেউ। এখানেও গাফফারের মহত্ত্বের পরিচয়।
এজেড/এইচএমএ