পুরস্কারের আগেই চলে গেলেন সাবিনাদের ওস্তাদ
আর কয়েক ঘন্টা পরেই সাতক্ষীরার ফুটবল কোচ আকবর আলীর হাতে পুরস্কার শোভা পেত। সেই পুরস্কার নেয়ার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন আকবর। বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির পুরস্কার গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো যায়নি এই তৃণমূলের কোচকে।
আকবরের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশের ফুটবলাঙ্গনে। জাতীয় নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন আকবরের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আকবরের এই চলে যাওয়ায় অনেক ব্যথিত তিনি, ‘নারী ফুটবল এক অকৃত্রিম বন্ধু হারাল। সে শুধু সাবিনার মতো খেলোয়াড় তৈরিই করেনি। নিজের দুই মেয়ে রিতু-মুক্তাকেও ফুটবলার বানিয়েছে। নারী ফুটবল যখন শুরুর দিকে সংগ্রামের মধ্যে ছিল। সেই সময় তিনি পাশে ছিলেন।’
সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান সাতক্ষীরাই সন্তান। তিনি আকবর আলীর বাড়িতে গিয়েছেন শেষ বারের মতো দেখতে, ‘সে সাতক্ষীরা খেলাধূলার অন্যতম প্রাণ ছিলেন। বিশেষ করে ফুটবলে তার অবদান অনস্বীকার্য।’ তৈয়ব হাসানের দেয়া তথ্য মতে আগামীকাল আকবরের জানাজা ও দাফন হবে।
বাংলাদেশের ফুটবলের সেই আগের জৌলুস নেই। পুরুষ ফুটবলে ক্রমাগত ব্যর্থতার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে, যা একটু সফলতা আসে এর পুরোটাই নারী ফুটবলের কৃতিত্ব। সেই নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এই আকবর আলীর হাতেই তৈরি। সাবিনা বাংলাদেশের নারী ফুটবলের এক কিংবদন্তী। সাবিনা ছাড়াও আরো অনেক নারী ফুটবলার ও অন্য খেলাতেও তিনি খেলোয়াড় সরবরাহ করেছেন।
সাতক্ষীরা থেকেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক ভূমিকা রেখেছেন এই কোচ। ফুটবল ফেডারেশন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এমনকি জেলা-বিভাগীয় সংগঠক পরিষদও তাকে কোনো স্বীকৃতি দেয়নি। ক্রীড়া সাংবাদিকদের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি তাকে ২০২১ সালের জন্য তৃণমূলের সেরা কোচ হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। সেই অনুষ্ঠান আগামীকাল দুপুর তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে। এর ২৪ ঘন্টা আগেই পৃথিবী থেকে চলে গেলেন এই কোচ।
এজেড/এইচএমএ