নায়ক জসিমের ছেলের কুস্তিপ্রেম
গতকাল মিরপুর ইনডোরে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম পেশাদার বক্সিং। রিংয়ের প্রতিযোগিতা শুরুর আগে ছিল গানের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান মাতিয়েছেন প্রয়াত নায়ক জসিমের ছেলে একে রাহুল।
গতকাল বক্সিংয়ের পাশাপাশি জসিমের ছেলে রাহুলকে নিয়েও বাড়তি উন্মাদনা ছিল। যারাই বিষয়টি জেনেছেন তারাই কাছে গিয়ে ছবি তুলেছেন। ব্যান্ড শিল্পী হলেও বক্সিং, কুস্তি দারুণ বোঝেন তিনি। খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কেউ ছবি তুলতে আসলে তাদের থামিয়ে বলছেন, ‘এই ফাইটা দেখে নেই, একটু পর।’ রিংয়ে চোখ রাখার পাশাপাশি বড় পর্দার রিপ্লে দেখে বিশ্লেষণও করেন, ‘নকআউটে এই অ্যাপ্রোচ ঠিক হয়নি।’
বাবা অভিনেতা, নিজে ব্যান্ডের গায়ক এরপরও তার ভালোবাসার জায়গা কুস্তি, ‘এটা আমার খুবই প্রিয় একটা খেলা। সময় সুযোগ পেলেই টিভিতে দেখি। আমেরিকাতে গিয়েও ডব্লিউডব্লিউই দেখে এসেছি কয়েকবার’-বলেন রাহুল।
বাংলাদেশে কুস্তি-বক্সিং খেলা সাধারণত হয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেশিয়ামে। সেখানে গিয়ে কোনো খেলা দেখা হয়নি অবশ্য তার, ‘বাংলাদেশের কোনো প্রতিযোগিতা আমার দেখা হয়নি। তবে পত্রিকায়, টিভিতে রেসলিং, বক্সিংয়ের খবর রাখি।’
পেশাগত কারণে গানই এখন তার সঙ্গী। তবে কালকের অনুষ্ঠানটি অন্য সব অনুষ্ঠানের চেয়ে ভিন্ন ছিল নায়ক জসিমের ছেলের কাছে, ‘দেশে-বিদেশে অনেক জায়গায় গান করেছি। আজকের অনুষ্ঠানটি বেশ ভিন্ন। কুস্তি-মুষ্টিযুদ্ধ আমার প্রিয় খেলা। সেই খেলার আগে গান গাওয়া এবং সরাসরি দেশে আন্তর্জাতিক খেলা দেখার সুযোগ দুটো আমার কাছে বিশাল পাওয়া।’
বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক জসিম পৃথিবী ছেড়েছেন দুই যুগ আগে। এখনও মানুষ তাকে স্মরণ করায় ছেলে রাহুল খুব গর্ব বোধ করেন, ‘বাবার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কোন পর্যায়ে ছিল সেটা ভাবলেই নিজের কাছে অত্যন্ত গর্ব লাগে। কোনো না কোনো ভাবে মানুষ জেনে যায় আমি তার ছেলে। এর পর সবাই পরিচিত হতে এসে বাবার স্মৃতিচারণ করে। এটা ছেলে হিসেবে আমার জন্য বিশাল ভালোলাগা।’
চলচ্চিত্র অঙ্গনের পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই চলচ্চিত্রে জড়িত হন। জসিমের তিন ছেলেই ব্যান্ড সংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। রাহুল ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘বাবা চলচ্চিত্রে ছিলেন। ছোটবেলা সিনেমা দেখলেও সেদিকে যাওয়া হয়নি। আমরা তিন ভাই। তিন ভাই-ই ব্যান্ডের সঙ্গে আছি। গান আমাদের ভালো লাগে। আমার ব্যান্ড ট্রেইনরেক।’ রাহুল হেভি মেটালে দারুণ অভ্যস্ত।
এজেড/এনইউ