ইংল্যান্ডের কোচ হতে যাচ্ছেন ম্যাককালামের ‘পছন্দের’ অস্ট্রেলিয়ান
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্বটা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের হাতে সমর্পণ করে অর্ধেক কাজ সেরেছিল ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইডব্লিউসিবি)। এর পরপরই সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের নতুন কোচ খোঁজার মিশন শুরু করেছিল তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সেই লক্ষ্যে অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছে ইডব্লিউসিবি। সদ্য বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের কোচ ম্যাথিউ মটকে নাকি ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড দলের কোচ নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি প্রায় পাকাপাকি করে ফেলেছে তারা।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করা সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার পল কলিংউডের চেয়ে ম্যাথিউ মটে বেশি মুগ্ধ হয়েছেন ইডব্লিউসিবির ইন্টারভিউ প্যানেলের সদস্যরা। তাই এই সপ্তাহান্তেই সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দিতে চান তারা।
কাকাতালীয়ভাবে প্রায় এক দশক আগে নিউজিল্যান্ডের কোচ হিসেবে মটের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট কোচ ম্যাককালাম। তবে ওই দায়িত্বটি তখন মাইক হেসনকে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। এক দশক পর এবার সেই মটের সঙ্গে হয়ত কাজের সুযোগ পেতে যাচ্ছন সাবেক কিউই অধিনায়ক ম্যাককালাম।
২০১৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের দায়িত্বে রয়েছেন মট। অসাধারণ কোচিংয়ে দলটিকে প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারের পর ৪২ ওয়ানডে খেলে মাত্র ২ ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রমীলা ক্রিকেটাররা। গত মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের বিশ্বকাপও অপরাজিত থেকে জিতেছে দলটি।
খেলোয়াড়ি জীবনে কুইন্সল্যান্ড এবং ভিক্টোরিয়ার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন ৪৮ বছর বয়সী মট। তবে জাতীয় দলের হয়ে কখনো খেলা হয়নি তার। নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াতে নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী কোচ হিসেবে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করা মট পরবর্তীতে ইংল্যান্ডে কাউন্টি দল গ্ল্যামরগান ও আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সেও সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কোচ পদে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের উত্তরসূরি হিসেবেও তার নাম শোনা গিয়েছিল। তবে মট তখন নারী দলের দায়িত্বকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
এইচএমএ