তাসকিনদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মাশরাফির সতর্কবার্তা
নিজের বিপক্ষে করা সমালোচনা সইতে না পেরে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুজ পেজে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। যদিও পরে নিজের মন্তব্য মুছে ফেলেন। তবে এজন্য আরো বেশি মাশুল দিতে হয় তাকে। বেফাঁস মন্তব্য আর কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে সতর্ক করা হয় সাইফউদ্দিনকে। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো বিষয়ে সতর্ক করা হলেও বিশেষ করে কিছু তরুণ ক্রিকেটার এ থেকে বের হতে পারছেন না।
বাংলাদেশের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ক্রিকেট, জনপ্রিয়তার দিক থেকেও এগিয়ে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে এনিয়ে চলে জোর আলোচনা। ক্রিকেটাদের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা সমর্থকরা তুলে ধরেন পুঙ্খানুপুঙ্খরূপভাবে। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন, এসব আলোচনা আর সমালোচনা থাকবেই। তবে এই প্লাটফর্ম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে ক্রিকেটারদের।
মিরপুরে আজ সংবাদমাধ্যমকে মাশরাফি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া সবসময় বিপদজনক। যেকোনো মানুষের জন্যই, আর খেলোয়াড়দের জন্য তো অবশ্যই। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রকমের কথা আসে। এমন না এটা ভুল জায়গা। তবে কোন কথা কীভাবে প্রভাব রাখছে সেটা খেলোয়াড়দের বুঝতে হবে। খেলোয়াড় যদি সবকিছু সামলাতে পারে তাহলে তো ভালোই। না পারলে বুঝতে হবে এখানে থাকা উচিৎ কি না।’
সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি, ‘যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত থাকবে সে তত চাপ নিবে। ভালো খেললে মানুষ ভালো কথা বলবে, খারাপ খেললে সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। ঐ খেলোয়াড় কীভাবে নিচ্ছে বিষয়টিকে এটার ওপর নির্ভর করে। আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা সবাই পরিণত। তারা জানে দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজটা সহজ ছিল না আর সামনের সিরিজও সহজ হবে না। প্রত্যাশা থাকবেই। নিজেকে সেভাবে তৈরি করতে হবে- আমার চলাফেরা বা কথাবার্তা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমি যেন প্রত্যাশার বাইরে চলে না যাই।’
ক্রিকেটারদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় দেন তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয়ের পর তাসকিনকে পাশে বসিয়ে সে কথা বলেছেন ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মাশরাফির সতর্কতায় আলাদা করে থাকল তাসকিনের নাম। তবে সাবেক এই অধিনায়কের বার্তা সবাইকে উদ্দেশ্য করে।
মাশরাফর ভাষায়, ‘তাসকিন যখন পরিশ্রম থেকে ফলাফল পেয়েছে, আমার বিশ্বাস ও এ ধরনের ভুল আর করবে না। শুধু ও না, সবার ক্ষেত্রেই বলছি, দিনশেষে খেলাটাই সব। নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের কথা বলছি না। ওই খেলোয়াড়কে নিয়ে বলছি যার ওপর এগুলো প্রভাব ফেলে। এসব দিক মাঠে আমাকে বিরক্ত করছে কি না, আমি খেলার বাইরে চলে যাচ্ছি কি না।’
টিআইএস/এটি