জুমার নামাজ কত রাকাত?
জুমাবার সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী এই দিন দুই রাকাত জুমার ফরজ নামাজ পড়তে হয়। তবে ফরজের আগে ৪ রাকাত ও ফরজের পরে ৪ রাকাত সুন্নতও রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে মোট ১০ রাকাত।
জুমার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন, 'হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমা, আয়াত : ৯-১০)
জুমার নামাজেরর নিয়ম
সময় একই হলেও যোহরের সঙ্গে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। জুমার নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমা এবং পরে চার রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নত নামাজ) আদায় করতে হয়। জোহরের মতো কেউ চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। তবে এসব নফল নামাজ জুমার অংশ হিসেবে পড়া হয় না এবং তা আবশ্যকীয়ও নয় বরং ব্যক্তি তা স্বেচ্ছায় করতে পারে এবং না করলে তার দোষ হয় না।
জুমার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা আবশ্যিক। ফলে জুমা একাকী আদায় করার নিয়ম নেই।
পবিত্র কোরআনে জুমার নামাজের সময় হলে কাজ বন্ধ করে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি কারণবশত (যেমন খুব অসুস্থ ব্যক্তি) জুমা আদায় করতে না পারে, তবে তার ক্ষেত্রে যোহরের নামাজ আদায় করা নিয়ম। তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তির ওপর, যেমন মুসাফির অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে যোহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীয় হয়। তবে মুসাফির চাইলে জুমা আদায় করতে পারে।