নামাজের জন্য অপেক্ষা করার ফজিলত
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য ফরজ করেছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা প্রতিদিন ফরজ নামাজ আদায় করে থাকেন। কিন্তু ধর্মপ্রাণ মুসলমান এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় শেষে আরেক ওয়াক্তের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নামাজের প্রতীক্ষা যতক্ষণ (কাউকে) আবদ্ধ রাখে, ততক্ষণ সে আসলে নামাজের মধ্যেই থাকে; যখন নামাজ ছাড়া অন্য কোনো কিছু (তাকে) তার স্বীয় পরিবারের কাছে ফিরে যেতে বাধা না দেয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৩২২৯, ৪৭১৭; মুসলিম, হাদিস : ৬৪৯; তিরমিজি, হাদিস : ২১৫, ২১৬, নাসায়ি, হাদিস : ৭৩৩,৭৩৮; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬৯)
অর্থাৎ নামাজের অপেক্ষা করার মাধ্যমে সওয়াব, ফজিলত ও পুণ্যপ্রাপ্তির দিক থেকে সে ব্যক্তি নামাজে মগ্ন থাকার সওয়াব লাভ করে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে মাগরিব আদায় করলাম, অতঃপর যারা ফিরে যাওয়ার ফিরে গেল এবং যারা থাকার থাকল, পরক্ষণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) দ্রুত ফিরে এলেন, তাঁর নিঃশ্বাস জোরে পড়ছিল, তার হাঁটুর কাপড় উঠে যাচ্ছিল। তিনি বললেন, ‘তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো, তোমাদের প্রতিপালক আসমানের একটি দরজা খুলে তোমাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করছেন। তিনি বলছেন, আমার বান্দাদের দেখো, তারা এক ফরজ শেষ করে অপর ফরজের অপেক্ষা করছে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮০১)
জামাতে নামাজের সওয়াব
জামাতে সালাত আদায় করা বেশি ফজিলতপূর্ণ। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, জামাতে সালাত আদায়ের ফজিলত একাকী সালাত আদায় অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি। যদি লোকসংখ্যা বেশি হয়, তাহলে মসজিদে যে পরিমাণ লোক থাকবে ততগুণ বেশি সওয়াব পাবে। একজন লোক জিজ্ঞেস করল, যদি লোকসংখ্যা ১০ হাজার হয়? তিনি বলেন, হ্যাঁ, ৪০ হাজার হলেও। (ইবনু আবি শায়বা, হাদিস : ৮৪৮৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জামাতে সালাতের ফজিলত একাকী আদায়কৃত সালাতের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৫)